হিজাব মামলায় আজকে কর্ণাটক হাই কোর্টে রায় দিয়ে পড়ুয়াদের আবেদন খারিজ করে দেয়। তবে এতে দমছেন না আবেদনকারীরা। আবেদনকারীদের তরফে তাদের আইনজীবী আনাস তনভির মামলার রাযদানের পরই টুইট করে জানান তারা শীঘ্রই শীর্ষ আদালতে যাবেন এই মামলা নিয়ে। পাশাপাশি প্রাথমিক ভাবে হিজাব মামলায় ‘ধাক্কা’ খেলেও বিচার ব্যবস্থা এবং সংবিধানের প্রতি তাঁর মল্লেলদের আস্থা অটুট রয়েছে বলে জানান তনভির।
এদিন টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘উদুপি হিজাব কাণ্ডে আমার মক্কেলদের সঙ্গে দেখা করলাম এই। ইনশাআল্লাহ শীঘ্রই আমরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করব। ইনশাআল্লাহ আশা করছি এই পড়ুয়ারা হিজাব পরার অধিকার বজায় রেখে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে ভবিষ্যতে। এই মেয়েগুলি আদালত এবং সংবিধানের উপর নিজেদের আস্থা হারায়নি এখনও।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করাকে কেন্দ্র করে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই উত্তাল কর্ণাটক। মামলাটি কর্ণাটকে হাই কোর্টে গড়িয়েছিল। আজ সেই মামলার রায়দান ছিল। আর সেই রায়দানে আজকে কর্ণাটকের উচ্চ আদালত হিজাব নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যে পিটিশনগুলি দায়ের করা হয়েছিল, তা খারিজ করে দিয়েছে। আবেদন খারিজ করে দিয়ে আজ কর্ণাটক হাইকোর্ট বলেছে, হিজাব পরা অপরিহার্য ধর্মীয় রীতি নয়। আবেদনকারীদের এর আগে অভিযোগ ছিল, হিজাব নিষিদ্ধ করে তাদের ধর্ম পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাদের দাবি ছিল, হিজাব পরা ইসলাম ধর্মে বাধ্যতামূলক। তবে আবেদনকারীদের সেই দাবিকে নাকচ করে দিল উচ্চ আদালতের বেঞ্চ। এই প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত বলেছে, স্কুল বা কলেজগুলির পূর্ণ অধিকার রয়েছে প্রতিষ্ঠানের ইউনিফর্ম নির্ধারণ করার।