রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য কে হবেন সেব্যাপারে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তই শিরোধার্য হবে। কেরলের ১৩টি স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্ষেত্রে উপাচার্য নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকারই। এব্যাপারে রাজ্য বিধানসভায় বিল আনা হয়েছে। এদিকে এই বিলকে ঘিরে ইতিমধ্যেই কেরল সরকার ও রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের মধ্যে সংঘাত চরমে উঠেছে।
সূত্রের খবর বিধানসভার বিশেষ ১০দিনের সেশনে এই বিলটি পাস হতে পারে। এদিকে নানা ইস্যুতে সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাত ক্রমেই চূড়ান্ত জায়গায় গিয়েছে।
এদিকে সপ্তাহ দুয়েক আগে তিন সদস্যের সার্চ কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই কেরল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের জন্য তৎপর হয়েছিলেন রাজ্যপাল। এনিয়েও সরকারের সঙ্গে তিক্ততা তৈরি হয় রাজ্যপালের। এরপর কুন্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগের ক্ষেত্রেও স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্তিগত সচিবের স্ত্রী প্রিয়া ভারঘিসকে ওই পদে বসানো হচ্ছিল। তারপরই স্বজনপোষনের অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যপাল।
এদিকে নয়া বিলে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারকে বড় ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। তবে বর্তমানে বর্তমানে উপাচার্য পদে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য তিন সদস্যের সার্চ কমিটি তৈরি করাটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেই কমিটির সদস্যদের নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। সেই কমিটিতে রাজ্যপালের নমিনি, ইউজিসি ও ইউনিভার্সিটি সেনেটের প্রতিনিধিরা থাকেন।