পুণেতে আটক করা হল প্রাইভেট ডিটেকটিভ হিসেবে পরিচিত কিরণ গোসাভই সম্প্রতি আরিয়ান খান মাদক মামলায় এনসিবির অন্যতম সাক্ষী হওয়ার দরুণ খবরের শিরোনামে ছিলেন গোসাভি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। যারপর গোসাভিকে নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। শেষ পর্যন্ত অভিযোগ ওঠে, শাহরুখপুত্র আরিয়ানকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ২৫ কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করেছিলেন গোসাভি।
পুণে পুলিশ কমিশনার অমিতাভ গুপ্ত বলেছেন, ২০১৮ সালের একটি প্রতারণা মামলায় পুলিশ গোসাভিকে আটক করেছে আজ সকালে। আপাতত এটার সঙ্গে শাহরুখ পুত্র মামলার কোনও যোগ নেই। তবে, যত দিন যাচ্ছে, ততই মাদক মামলার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেককে নিয়ে জলঘোলা হচ্ছে।
এর আগে আরিয়ান ধরা পড়ার পর তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন গোসাভি। প্রশ্ন উঠেছিল, এনসিবি কী করে তাঁকে ধৃতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিল। গত ২ অক্টোবর মুম্বই উপকূলে প্রমোদতরীতে অভিযান চালায় এনসিবি। এই ঘটনার সাক্ষী হিসাবে সেখানে উপস্থিত রাখা হয় কিরণ গোসাভিকে। কিন্তু, তাঁর এই উপস্থিতি নিয়েই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এর পরপরই পুণে পুলিশের তরফে পুরোনো এক প্রতারণা মামলার প্রেক্ষিতে কিরণের নামে লুকআউট নোটিস জারি করা হয়েছিল।
এরই মধ্যে অভিযোগ ওঠে, শাহরুখ খানের ম্যানেজার পুজা দাদলানির সঙ্গে যোগাযোগ করে আরিয়ানকে মুক্তি দিতে ২৫ কোটি টাকা দাবি করার পরিকল্পনা করছিল গোসাভি। শেষ অবধি ১৮ কোটিতে রফা করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। এরমধ্যে ৮ কোটি টাকাই দেওয়া হত এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়েকে। এই অভিযোগ উঠতেই ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ভিজিল্যান্স তদন্ত শুরু করেছে।