ভূপালের ধর এলাকায় একটি প্রাচীন বাড়ি ভাঙার সময় পাওয়া গিয়েছিল বিপুল স্বর্ণমুদ্রা. সোনার গহনা ভর্তি কলস। কয়েকজন শ্রমিক ওই স্বর্ণমুদ্রাগুলি চুপি চুপি বিক্রিও করে দিয়েছিলেন। ইন্দোরের আর্কিওলজিকার সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দাবি, প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন ওই বহুমূল্য সামগ্রী। কিন্তু কীভাবে বিষয়টি জানাজানি হল?
সূত্রের খবর, গত ১৯ ও ২১ অগস্ট আটজন শ্রমিক ওখানে কাজ করছিলেন। বাড়ি ভেঙে খনন করার সময় ধাতব একটি ঘড়া পাওয়া যায়। আর সেই ঘড়াতেই ছিল ৮৪টি সোনার মুদ্রা। সোনার গয়না ও সোনার অন্যান্য সামগ্রী। তারা ওই সব প্রাচীন সামগ্রী বিক্রি করে দিয়েছিল। পরে মদ্যপ অবস্থায় এক শ্রমিক অন্যান্যদের জানিয়ে দিয়েছিলেন একটি সোনার মুদ্রা বিক্রি করে তিনি ৫৬ হাজার টাকা পেয়েছেন। সেই টাকা দিয়ে তিনি তাঁর পুরানো ধার মিটিয়েছেন।
রবিবার পুলিশ বিষয়টি জানতে পারে। আটজন শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৮৩টি কয়েন ও দুটি সোনার পিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ইন্দোরের এএসআইয়ের প্রধান আশুতোষ মহাশব্দে জানিয়েছেন, এই কয়েনগুলির সঙ্গে যোধপুরের রাজ আমলের কয়েনের মিল পাওয়া যাচ্ছে। এগুলির দাম প্রায় ১.২৫ কোটি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। কয়েনের উপর কিছু খোদাই করা রয়েছে।সেগুলি পাঠোদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
তেহশিলদার বিনোদ রাঠোর ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবেন্দ্র পাতিদার ওই কয়েনের ব্যাপারে আরও তল্লাশি শুরু করেছেন। তবে ওই বাড়ির মালিক শিবনারায়ণ রাঠোর জানিয়েছেন, গত প্রায় ১০০ বছর ধরে আমাদের পরিবার ওই বাড়িতে বাস করতেন। কিন্তু সেখানে যে এমন সম্পদ রয়েছে তা জানতাম না।