আট ভারতীয় প্রাক্তন নৌ কর্তার মৃত্যুদণ্ডের সাজাকে চ্যালেঞ্জ করে কাতারি আদালতে জানানো হয়েছিল আপিল। সেই আবেদন গৃহীত হয়েছে বলে জানা গেল। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত সরকারের মদতে ব্যক্তগিত ভাবেই আট ভারতীয় এই আপিল জানিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর ভারতীয় নৌসেনার ৮ জন প্রাক্তন আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল কাতারের এক আদালত। এই ঘটনার পরই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, এই রায়ে তারা হতবাক। এই আবহে এই ৮ ভারতীয়কে কাতার থেকে দেশে ফেরানোর জন্য ভারতের তরফে চেষ্টাও শুরু হয় বলে জানা যায়। এদিকে দেশের রাজনীতিক নেতারা সরকারের কাছে আবেদন করে চলেছেন, যেভাবেই হোক এই ৮ ভারতীয়কে যেন দেশে ফেরানো হয়। (আরও পড়ুন: '২১ জুলাই বাতিল করে দিলে ভালো হবে?' ধর্মতলায় শাহি সভার অনুমতি দিল হাই কোর্ট)
এই সবের মঝেই রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক নীরবে এই ৮ ভারতীয়কে কাতারের জেল থেকে দেশে ফেরানোর প্রচেষ্টা শুরু করেছে। কূটনৈতিক চ্যানেলে কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসে কি না, সেদিকে নজর দিয়েছে ভারত। এদিকে আইনি দিক দিয়েও এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করার তোড়জোড় শুরু হয়। সেই মতো কাতারি আদালতে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জমা পড়ে। এবার তা গ্রহণ করে সেদেশের আদালত। এদিকে ২০১৫ সালে ভারত ও কাতারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ভারতের কোনও নাগরিক যদি কাতারে গ্রেফতার হয় বা কাতারের নাগরিক ভারতে গ্রেফতার হয়, তাহলে নিজেদের দেশে সেই ধৃতকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। সাজার বাকি কাল নিজের দেশের জেলেই কাটাবে সেই অপরাধী। এদিকে এই চুক্তি অনুযায়ী ৮ ভারতীয়কে ফেরানো না গেলে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার কথাও ভাবছে ভারত। এর আগে কূলভূষণ যাদবের ক্ষেত্রেও এমনটাই করেছিল ভারত।
আরও পড়ুন: রাজ্যে কার্যকর হতে পারে সপ্তম বেতন কমিশন, ২০২৪-২৫ বাজেটের পর মিলবে সুখবর?
এদিকে যে 'দাহরা গ্লোবাল' সংস্থার হয়ে এই ৮ ভারতীয় কাজ করতেন, সেই সংস্থার মালিকের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়াই আসেনি এই মৃত্যুদণ্ডের রায়দানের পর থেকে। উল্লেখ্য, এই সংস্থার মালিক নিজেও এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি নিজে ওমানের বিমান বাহিনীর প্রাক্তন কর্তা ছিলেন। জানা গিয়েছে, এই সংস্থাটি কাতারের নৌবাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল। কাতারের নৌবাহিনীতে ইতালিতে তৈরি ডুবোজাহাজের অন্তর্ভুক্তির দিকটিও দেখছিল এই সংস্থা।