চিনা করোনা টিকা 'সিনোভ্যাক'। প্রত্যেকের তার দুটি ডোজই নেওয়া। তারপরেও করোনায় মৃত ইন্দোনেশিয়ার ১৩১ জন চিকিত্ক ও নার্স।
শুধু তাই নয়। ইন্দোনেশিয়ায় এই টিকার ট্রায়ালের প্রধান পর্যবেক্ষক নিজেও এই এটি গ্রহণ করেছিলেন। সেই বিজ্ঞানী নোভিলা জাফরি বক্তিয়ার বুধবার করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই চিনের এই করোনা টিকা সিনোভ্যাকের কার্যকারিতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
চিনে ডেভলপ হয়েছে সিনোভ্যাক। ইন্দোনেশিয়ায় চুক্তির মাধ্যমে তা উত্পাদন করছে রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা বায়োফার্মা। মূলত এই করোনা টিকার উপরেই ভরসা করে আছে ইন্দোনেশিয়া। ইতিমধ্যেই কোটি কোটি মানুষ এই টিকা গ্রহণ করেছে। কিন্তু আদৌ কতটা লাভ হচ্ছে এই টিকায়?
গত জুলাই মাসেই ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ৫০ জন চিকিত্সক-নার্স করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকের সিনোভ্যাকের দুটি ডোজ নেওয়া ছিল।
যদিও এখনও সিনোভ্যাককেই সমর্থন করছেন ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুদি গুনাদি সাদিকিন। তাঁর কথায়, 'করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্টের ফলেই আবার সংক্রমণ, প্রাণহানি বাড়ছে। এর জন্য টিকার কার্যকারিতাকে প্রশ্ন করাটা অযৌক্তিক।' তাঁর দাবি, ইজরায়েল, ব্রিটেনের মতো দেশগুলিতে ফাইজার বা অ্যাস্ট্র্যাজেনেকার টিকা দেওয়া হচ্ছে। সেখানেও করোনা সংক্রমণ বাড়ছে।
চলতি সপ্তাহে বুধবার, এই প্রথম ইন্দোনেশিয়ায় একদিনে ১ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় প্রাণ হারান। বুধবার ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করোনা আক্রান্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি। অর্থাত্ জনসংখ্যার নিরিখে অনেকটাই বেশি সংক্রমণ ইন্দোনেশিয়ায়।