রেজাউল এইচ লস্কর
উদ্বেগের রিপোর্ট জাতিসঙ্ঘের। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই- মহম্মদ ও লস্কর-ই-তইবার প্রায় শখানেক যোদ্ধা আফগানিস্তানে রয়েছে। এমনকী আফগানিস্তানের কুনার ও নানগরহারে এই দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর অন্তত ১১টি জঙ্গি শিবির রয়েছে। এমনটাই ইউএন রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।এদিকে তেহরিক-ই- তালিবান পাকিস্তান সম্প্রতি উত্তরপশ্চিম পাকিস্তানে একের পর এক হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। আফগানিস্তানে থাকা বিদেশি জঙ্গিরা এসব করেছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।
গত বছর অগস্ট মাসে কাবুল দখল করেছিল তালিবানরা। আর এই রিপোর্টই ইউএন সিকিউরিটি কাউন্সিলের প্রথম রিপোর্ট। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই- মহম্মদ ও লস্কর-ই-তইবার অন্তত শতাধিক জঙ্গি শুধু আফগানিস্তানেই ডেরা বেঁধেছে। জইশ-ই- মহম্মদ আফগানিস্তানের নানগরহারে প্রদেশে প্রশিক্ষণ শিবির চালাচ্ছে।তার মধ্যে তিনটি সরাসরি তালিবান নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।তবে ঠিক কোথায় এই ধরনের শিবির চলছে, কতজন জঙ্গি তাতে ডেরা নিয়েছে তা নিয়ে অবশ্য নির্দিষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।
অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তালিবানের একটি প্রতিনিধি দল হাসকা মেনা জেলায় লস্করের একটি ট্রেনিং ক্যাম্প ঘুরে দেখেন।আফগানিস্তানে লস্করের শাখাগুলি দেখাশোনা করছে মাওলায়ি ইউসুফ। অন্যদিকে জইশের গ্রুপটি চালাচ্ছে মাসুদ আহার। তাদের সঙ্গে তালিবানের নীতির অনেকটা মিলও রয়েছে। এদিকে তালিবানরা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, তাদের মাটিকে বিদেশি কোনও জঙ্গি সংগঠনের জন্য তারা ব্যবহার করতে দেবে না।তবে ইউএন রিপোর্টে এটা পরিষ্কার যে আফগানিস্তানে একাধিক বিদেশি জঙ্গি গোষ্ঠী এখনও সক্রিয়।