কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরিয়াপ্পা। মঙ্গলবার তিনি জানিয়ে দিয়েছেন জেডিএসের সঙ্গে হাত ধরাধরি করে তারা কর্ণাটকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিএস নেতা কুমারস্বামীকেও সমর্থন করেন তিনি।আসলে কুমারস্বামী যে অভিযোগ তুলেছিলেন সেটাকেই সমর্থন করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু কুমারস্বামীর অভিযোগ ঠিক কী ছিল?
সোমবার কুমারস্বামী অভিযোগ করেছিলেন আধিকারিকদের বদলি করার বিনিময়ে মুখ্যমন্ত্রীর অফিস মোটা টাকা ঘুষ নিচ্ছে। বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিকদের ইয়েদুরিয়াপ্পা জানিয়েছেন, যেটা কুমারস্বামী বলেছেন তার মধ্য়ে মিথ্য়ে কিচ্ছু নেই। একেবারে সত্যি কথা বলেছেন। আমি তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করছি। আগামীদিনে আমরা একসঙ্গে লড়াই করব।
এদিকে ইয়েদুরিয়াপ্পার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কুমারস্বামী জানিয়েছেন, সম্ভবত এই বছরের শেষে এই ঘটনা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, আমি এনিয়ে কারোর নাম বলতে চাই না। যেকোনও কিছু হতে পারে। এটা বেশি সময় নেবে না। সম্ভবত এই বছরের শেষে এটা হতে পারে। অথবা সংসদ ভোটের পরে এটা হতে পারে। সেকারণে আমাদের একটু অপেক্ষা করতে হবে।
এবার কর্ণাটক ভোটে একেবারে লেজেগোবরে অবস্থা হয়েছিল জেডিএসের। এরপরই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একের পর এক তির ছুঁড়তে শুরু করেন তিনি।
এদিকে আধিকারিকদের বদলি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন কুমারস্বামী। সেখানে কী ধরনের দুর্নীতি হয়েছিল সেই অভিযোগই তুলেছেন তিনি। সোমবার কুমারস্বামী জানিয়েছিলেন, সম্প্রতি এক আধিকারিক বদলির জন্য স্থানীয় বিধায়কের চিঠি নিয়ে সিএমওতে জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু সিএমওর তরফ থেকে জানানো হয়েছিল বদলির জন্য সুপারিশপত্র যথেষ্ট নয়। পোস্টিংয়ের জন্য অন্তত ৩০ লাখ টাকা লাগবে। কৃষ্ণাতে থাকা মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে এই কাণ্ড হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন কুমারস্বামী।
এদিকে রবিবারও এনিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ইয়াথিন্দ্র সিদ্ধারামাইয়া ট্যাক্স আরোপ করা হচ্ছে। এদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই ও বিজেপি এমএলএ বাসবানাগৌন্ডা পাতিল ইয়াতনালও কুমারস্বামীর দাবিকে মেনে নিয়েছেন। তাঁদের মতে, ওই যে ৪০ শতাংশ দুর্নীতির কথা বলা হয় সেটা তো এখন থেকেই শুরু হল।
এবার একটু পেছন ফিরে দেখা যাক। ২০০৬ সালে জেডিএস-বিজেপি গাঁটছড়া বেঁধেছিল। কুমারস্বামীকে সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল। ইয়েদুরিয়াপ্পা সেই সময় ডেপুটি ছিলেন। প্রায় ২০ মাস ধরে তার একজায়গায় ছিলেন। এরপর ২০০৭ সালে তাদের জোট ভেঙে যায়।