প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ঘিরে বিবিসির তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ ঘিরে বিতর্ক যখন তুঙ্গে, তখনই দেশের দুই প্রান্তে বিবিসির দফতরে অভিযান চালায় আয়কর বিভাগ। আয়কর বিভাগ জানিয়েছে, এই অভিযান সমীক্ষার অংশমাত্র। তবে দেশের রাজধানী দিল্লি ও মায়ানগরী মুম্বইতে আয়কর বিভাগের এমন পদক্ষেপ ঘিরে রাজনৈতিক আলিন্দে দোলাচল অব্যাহত। সদ্য এই ইস্যুতে টুইট-বাণ দাগেন তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
দিল্লি ও মুম্বইতে বিবিসির দফতরে এদিন আয়কর অফিসাররা পৌঁছতেই দোলাচল শুরু হয়। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র দাবি করেন, ‘মিস্টার A’এর জন্যও যেন এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, মহুয়ার টুইটে থাকা ‘মিস্টার A’ কোটিপতি শিল্পপতি গৌতম আদানি কিনা, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা। উল্লেখ্য, সদ্য আমেরিকার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের তরফে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে আদানির সংস্থা নিয়ে। তারপরই শিল্পপতির ব্যবসা হু হু করে পড়তে থাকে। বিবিসির দফতরে আয়কর বিভাগের অভিযান নিয়ে মহুয়া মৈত্র টুইটে লেখেন , ‘ যেহেতু ভ্যালেন্টাইন্স ডেতে এজেন্সিগুলি এমন সার্ভে করছে, যদি SEBI, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট, আয়কর দফতর এমনই কিছু যদি করত সরকারের সবচেয়ে প্রিয় সুইটহার্ট মিস্টার Aএর জন্য? ’
উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিতর্কিত ওই তথ্যচিত্র ঘিরে দেশ জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও বিজেপি বিরোধী শিবিরে ওই তথ্যচিত্র দেখানো নিয়ে শোরগোল হতে দেখা যায়। ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময়কালে সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই ইস্যুতে এই তথ্যচিত্র বিতর্কের আঙিনায় পা রেখেছে। উল্লেখ্য, তথ্যচিত্র প্রকাশের ২ মাসের মধ্যেই বিবিসির দফতরে এই অভিযান চলে আয়কর বিভাগের।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup