সংরক্ষণে লাগাম টানা বিষয়ক একটি আবেদনে শুক্রবার বিশেষ সাড়া দিল না সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের দাবি, এটা কোর্টের এক্তিয়ারের বাইরের বিষয়। প্রসঙ্গত চিকিৎসক সুভাষ বিজয়রান উল্লেখ করেছিলেন যে জাতি ভিত্তিক সংরক্ষণ অনন্তকালের জন্য় গ্রাহ্য হতে পারে না। এটার একটা সময়সীমা থাকা দরকার। কারণ এভাবে চলতে থাকলে সংরক্ষণের লাভজনক দিকটি নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে সংরক্ষণপর্বের আগের জমানায় মানুষ ফরওয়ার্ড ট্যাগ পাওয়ার জন্য় লড়াই করতেন। আর এখন পিছিয়ে পড়ার তকমা পাওয়ার জন্য় লড়াই করছেন। সংরক্ষণের সুবিধা পাওয়ার জন্য একাধিক চিকিৎসক আইনজীবী, ইঞ্জিনিয়াররা পিজি কোর্সে ভরতি হওয়ার জন্য ব্যাকওয়ার্ড ট্যাগ লাগাতে চাইছেন।
তাঁর দাবি, এইমস সহ দেশের নামকরা প্রতিষ্ঠানেও এর নজির রয়েছে। সংরক্ষণের যূপকাষ্ঠে অন্তত ৫০ শতাংশ আসনকে প্রতিবছর বলিদান দেওয়া হয়। দেশের এই সমস্যার কথা উল্লেখ করে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার ব্যাপারে ওই আবেদনকারী আবেদন করেছিলেন। প্রসঙ্গত ওই ব্যক্তি নিজেও আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।এদিকে জাস্টিস এল নাগেশ্বর রাও ও রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চ জানিয়েছেন, ‘আপনি আমাদের এক্তিয়ার সম্পর্কে পুরোটাই জানেন। আমরা কীভাবে জাতি ভিত্তিক সংরক্ষণের জন্য় সময়সীমা নির্ধারন করতে পারি? আমরা আপনাকে আবেদন প্রত্যাহারের জন্য বলছি অথবা আমরা আবেদন নাকচ করে দেব।’