বন্ধুকে খুন করে সেই দেহ পাহাড়ের উপর থেকে ফেলতে চেয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু নিয়তির টান। সেই ঢালু পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়ে গেলেন তিনি। ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিরও মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্রের আম্বোলি ঘাট এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর অপর এক সঙ্গী দেহটিকে ফেলে দেওয়ার কাজে সহায়তা চাইতে এসেছিলেন, তিনি ঘটনার ব্যাপারটি জেনেই পালিয়ে যান।
তিনজনেই সাতারার কারাদ এলাকার বাসিন্দা। মৃত ব্যক্তির নাম ভাউসো মানে। তার সঙ্গীর নাম তুষার পাওয়ার। তারা ৩০ বছর বয়সী সুশান্ত খিল্লারেকে খুন করেছিল রবিবার। এরপর পাহাড়ের খাদে বন্ধুর দেহটি ফেলে দেওয়ার জন্য তারা এসেছিল। কিন্তু দেহ ফেলতে এসে মানে নিজেই পড়ে যান। এরপর ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ব্যাপারটি বুঝতে পেরেই পালিয়ে যায় পাওয়ার। পরে তিনি মন্দিরে গিয়ে পরিবারের কাছে ঘটনার কথা খুলে বলেন।
সূত্রের খবর, খিল্লারের দেহ নিয়ে প্রায় ৪০০ কিমি গাড়ি চালিয়ে আম্বোলি ঘাট এলাকায় এসেছিলেন মানে ও পাওয়ার। তারপর তারা দেহটিকে পাহাড়ের খাদ থেকে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল। সেই মতো তারা পাহাড়ের ধারে দেহটিকে নিয়ে যায়। কিন্তু সেই সময় টাল সামলাতে না পেরে ওই যুবক নিজেই ওপর থেকে খাদে পড়়ে যান। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। এরপরই অপর বন্ধু পাওয়ার এলাকা থেকে পালায়। এরপর কাছের একটি মন্দিরে সে পরিবারের কাছে গিয়ে গোটা ব্যাপারটি খুলে বলে।
এদিকে স্থানীয়রা প্রথমে একটি দেহ দেখতে পান। এরপর তারা পুলিশকে বিষয়টি জানান। পরে প্রায় ১৫০ ফুট নীচে থেকে দুটি দেহ উদ্ধার করা হয়। একটি দেহ থেকে অপর দেহের দূরত্ব ছিল প্রায় ১০ ফুট।
এদিকে এই আম্বোলি ঘাটে প্রচুর বৃষ্টি হয়। একটা সময় এই পাহাড়টিতে দেহ ফেলার জন্য কুখ্যাত ছিল। নির্জন এলাকায় খুন করে দেহ ফেলে পালিয়ে যেত দুষ্কৃতীরা। তবে বর্তমানে সেই প্রবণতা কিছুটা কমেছে। গত তিন বছরে আরও দেহ এখানে পাওয়া গিয়েছে। সেকারণে এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এই জায়গায় পর্যটকরাও প্রচুর আসেন। তাদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেটাও দেখা হচ্ছে।
কোলহাপুর থেকে সাওয়ান্তওয়ারি যাওয়ার পথে এই জায়গাটি পড়ে। পাহাড়ের নির্জন জায়গায় এটি অবস্থিত। মহারাষ্ট্রের অন্যতম পর্যটন সমৃদ্ধ এলাকা এটি। সেখানেই ভয়াবহ ঘটনা।