বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > চলন্ত স্কুটিতে মহিলাকে চুমু খাচ্ছিলেন যুবক, আপত্তি জানাতেই পিটিয়ে খুন

চলন্ত স্কুটিতে মহিলাকে চুমু খাচ্ছিলেন যুবক, আপত্তি জানাতেই পিটিয়ে খুন

চলন্ত স্কুটিতে মহিলাকে চুমু খাচ্ছিলেন যুবক। প্রতীকী ছবি

ধৃতদের কঠোর শাস্তির দাবিতে স্থানীয়রা সরব হয়েছেন। তাদের দাবি এভাবে নিরীহ কাউকে খুন করে ফেলার ঘটনা মানা যায় না। এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত কি না সেটা দেখা দরকার। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে।

ভয়াবহ ঘটনা গাজিয়াবাদে। স্কুটিতে বসে মহিলাকে চুমু খাচ্ছিলেন মণীশ কুমার নামে এক যুবক। এনিয়ে আপত্তি করেছিলেন বিরাট মিশ্র নামে অপর এক যুবক। তারপরেই মণীশ তার বন্ধুদের নিয়ে এসে বিরাটকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। তার জেরেই মৃত্যু হয় বিরাটের।

 বিরাট মিশ্র নামে ওই ব্য়ক্তি সাহিদাবাদ সবজি মার্কেটে হিসাব রক্ষকের কাজ করতেন। সকালের  দিকে তিনি এই কাজ করতেন। সন্ধ্যায় তিনি জিমের ট্রেনার হিসাবে কাজ করতেন। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল?

সূত্রের খবর, মণীশ কুমার নামে এক যুবক এক মহিলার সঙ্গে স্কুটিতে যাচ্ছিলেন। তারা স্কুটিতে বসেই চুমু খাচ্ছিলেন। এনিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন বিরাট। আর তার পরিণতিতেই ভয়াবহ ঘটনা।

প্রত্যক্ষদর্শী বান্টি কুমার এনিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন মণীশ কুমার এক মহিলাকে স্কুটিতে বসিয়ে চুমু খাচ্ছিলেন। এনিয়ে বিরাট মিশ্র আপত্তি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এটি রেসিডেন্সিয়াল এলাকা। আপনি অন্য কোথাও যান। এরপরই মণীশ তার আরও সঙ্গীদের নিয়ে আসে। এরপর শুরু হয় মারধর। লাঠি, ইঁট দিয়ে বিরাটকে তারা আক্রমণ করা শুরু করে। এরপর বান্টি বাঁচানোর চেষ্টা করে। তখন তাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

এদিকে বিরাট মিশ্রকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে রবিবার রাতে মৃত্যু হয় তার। শাহিদাবাদ পুলিশ এনিয়ে মামলা রুজু করেছে। শাহিদাবাদের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ ভাস্কর ভার্মা জানিয়েছেন, ৬জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এবার খুনের মামলা রুজু করা হচ্ছে।

ধৃতদের নাম মণীশ কুমার, মণীশ যাদব, গৌরব কাসানা, আকাশ কুমার, পঙ্কজ সিং, বিপুল কুমার। এদিকে মৃত ব্যক্তির বাবা সুদামা মিশ্র জানিয়েছেন, আমার ছেলে ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য। তারা বাইকের সাইলেন্সর খুলে নিয়ে সেটা দিয়ে আমার ছেলেকে মারধর করেছে। বেধড়ক মেরেছে তারা। তার জেরেই আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। 

ধৃতদের কঠোর শাস্তির দাবিতে স্থানীয়রা সরব হয়েছেন। তাদের দাবি এভাবে নিরীহ কাউকে খুন করে ফেলার ঘটনা মানা যায় না। এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত কি না সেটা দেখা দরকার। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে। কেন তারা এভাবে বিরাটকে খুন করল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

বন্ধ করুন