বিয়ে নিয়ে এবার বড় পর্যবেক্ষণ মাদ্রাজ হাইকোর্টের। শুক্রবার পর্যবেক্ষণে আদালত জানিয়েছে, যে দম্পতিরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন তাঁরা কেবলমাত্র যৌন সুখের জন্য নয়, আসন উদ্দেশ্য হল সন্তানের জন্ম দেওয়া।
বিচারপতি কৃষ্ণাণ রামস্বামী জানিয়েছেন, দম্পতি তাঁদের নাবালক সন্তানের অধিকারের জন্য ঝগড়া করছেন। মনে হচ্ছে শুধু দৈহিক সুখের জন্য তাঁরা বিয়ে করেছিলেন।
আদালত জানিয়েছে, বিয়ের বিষয়টি শুধু দৈহিক সুখের জন্য নয়, সন্তান উৎপাদন এর প্রধান লক্ষ্য। এর মাধ্যমে বংশের ধারাকে রক্ষা করা সম্ভব। এই বিবাহবন্ধনের মাধ্যমে যে সন্তানের জন্ম তা দুজনের মধ্যে যোগসূত্রকে আরও রক্ষা করে।
আদালত সূত্রে খবর, একজন আইনজীবী মহিলা তাঁর ৯ ও ৬ বছরের দুই সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে চেয়ে আবেদন করেন। সূত্রের খবর, ওই দম্পতি ২০০৯ সালে বিয়ে করেছিলেন। ২০২১ সাল থেকে তাঁরা আলাদা থাকতে শুরু করেন। ওই মহিলা মায়ের বাড়ির কাছেই অপর একটি ফ্ল্যাটে উঠে যান। আর স্বামী ও দুই সন্তান তাঁর সঙ্গে থাকেন না।
এদিকে হাইকোর্ট এর আগেই মায়ের অধিকারের ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই মহিলার স্বামী নানাভাবে মায়ের বিরুদ্ধে কটুকথা বলে সন্তানদের মন বিষিয়ে দেওয়া শুরু করেন। এদিকে বিচারপতি রামস্বামী জানিয়েছেন, এভাবে সন্তানদের অভিভাবকদের কাছ থেকে দূরে রাখা সেটা শিশু নির্যাতনের সামিল।
আদালত জানিয়েছেন, একটি শিশুর মধ্যে এমনিতে ঘৃণা আসে না। আসলে যাকে সে বিশ্বাস করে তিনি এই ঘৃণা তাদের মনে ঢুকিয়ে দেয়। এরপরই মায়ের কাছে যাতে সন্তানরা থাকতে পারে সেই নির্দেশ দেয় আদালত।