কথায় আছে রাখে হরি মারে কে! সুরাটের ১৩ বছর বয়সি এক কিশোর যেভাবে সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরেছে তাতে এই কথাটাই সবার আগে মাথায় আসে। ওই কিশোরের নাম লক্ষ্ণণ দেবীপুজক। গোদাদারা এলাকার বাসিন্দা। শনিবার বিকালে আরব সাগরের সৈকত থেকে প্রায় ১৮ নটিকাল মাইল দূরে ওই শিশুকে জীবন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তাকে উদ্ধার করেছে এক মৎস্যজীবী। তার বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরল ওই কিশোর।
সূত্রের খবর, গণেশ ঠাকুর বিসর্জেনের সময় প্রবল জোয়ারে ভেসে গিয়েছিল ওই কিশোর। তারপর তার খোঁজ মিলছিল না। পরিবারের সঙ্গে সমুদ্রে গণেশ ঠাকুর বিসর্জন দেখতে গিয়েছিল ওই কিশোর। তখনই কোনওভাবে ভেসে যায়। এনিয়ে মিসিং ডায়রিও হয়েছিল। তবে ভাগ্যক্রমে রক্ষা পেল ওই কিশোর।
তবে ওই উত্তাল সমুদ্রে ২৪ ঘণ্টা বেঁচে ছিল কিশোরটি। এরপর মাঝ সমুদ্রে ওই কিশোরকে ভেসে থাকতে দেখেন এক মৎস্যজীবী। আসলে সে গণেশ ঠাকুরের সঙ্গে থাকা একটা বিরাট প্লাইউডের পাটাতনের উপর বসেছিল।
সমুদ্রের মাঝে ওই পাটাতনের উপর ঠায় বসেছিল ওই কিশোর। পাছে ডুবে যায় সেকারণে তার উপরই ভেসে থাকার চেষ্টা। তবে মৎস্যজীবী কাছে গিয়ে দেখে পাটাতনের উপর কিশোরটি বসে রয়েছে। তাকে উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসা হয়।
কিন্তু মৎস্যজীবী তাকে দেখতে না পারলে কী হতে পারত তা ভাবতেই শিউরে উঠছেন বাসিন্দারা। তবে শেষ পর্যন্ত ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছে। এটাই রক্ষার।