বয়স হয়েছে অনেকটাই। শরীর অশক্ত। তবুও অযোধ্যায় শ্রীরামচন্দ্রের মন্দিরের প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ হাতছাড়া করলেন না হীরাবেন। বিশেষত সেই অনুষ্ঠানের পুরোভাগে যখন ছেলে নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদী।
এদিন প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী আরতি করছেন। টিভিতে সেই দৃশ্য দেখে হীরাবেন প্রণাম করছেন শ্রীরামচন্দ্রকে। এর আগে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যখন মোদী প্রদীপ জ্বালাতে বলেছিলেন, তখন দিয়া প্রজ্বলিত করেন হীরাবেন। গান্ধীনগরের নিবাসী হীরাবেন তার আগে ডিমোনিটাইজেশনের সময় লাইনে খাড়া হয় টাকাও তুলেছিলেন। PMCARES ফান্ডে টাকাও দিয়েছিলেন তিনি।
এদিন অবশ্য শুধু হীরাবেন সারা দেশ জুড়েই ছিল উৎসবের পরিবেশ। টিভির পর্দায় এই ঐতিহাসিক ঘটনাকে চাক্ষুষ করছিলেন কোটি কোটি মানুষ। স্ক্রিনে রামলালাকে দেখে অনেকে আরতিও করেন। আগের প্রজন্মের মানুষেরা জানান যে একসময় রামায়ণ নিয়ে এরকম একটা উন্মাদনা ছিল। সেটিই ফিরে এল রাম মন্দিরের ভূমিপুজোয়।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রশস্ত হয়েছিল রাম মন্দির নির্মাণের পথ। একদা আডবানির রথযাত্রায় সঙ্গী ছিলেন মোদী। আজ তিনিই চালিকাশক্তি। রাম একতার প্রতীক, রাম সবার, এই বার্তার মাধ্যমে সম্প্রীতির কথা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী। মন দিয়ে শুনলেন তাঁর মা।