ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ভালো সম্পর্কের জন্য সন্ত্রাস মুক্ত ও হিংসা বিহীন আস্থার পরিবেশ গড়ে ওঠা প্রয়োজন বলে ইমরান খানকে জানালেন নরেন্দ্র মোদী। পাকিস্তান দিবস উপলক্ষে মোদী যে চিঠি শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন ইমরানকে, তাতেই এই কথার উল্লেখ রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
চিঠিতে লেখা আছে যে পড়শি দেশের সঙ্গে ভারত সুসম্পর্ক চায়। তার জন্য চাই বিশ্বাসের পরিস্থিতি, যেখানে হিংসার লেশ নেই। করোনার চ্যালেঞ্জকে অতিক্রম করার জন্য ইমরান খান ও পাক জনগণকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত গত শনিবার করোনা ধরা পড়ে ইমরান খানের। তাঁকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন মোদী।
দীর্ঘদিন প্রতিবেশি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছে পাকিস্তানের। তবে এবার নতুন করে সুসম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করল ইসলামাবাদ। আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে যাবতীয় সমস্যার সমাধানে করতে চায় পাকিস্থান। মঙ্গলবার কুটনৈতিক স্তরে নয়াদিল্লিকে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্থান হাই কমিশনের তরফে এক বার্তায় জানানো হয়েছে, পাকিস্তান ভারত সহ সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়।পাক হাই কমিশনের তরফে আফতাব হাসান খান জানান, ভারত–পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য আলোচনার ভিত্তিতে জম্মু–কাশ্মীর সহ সব সমস্যার সমাধান জরুরি। বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি স্থাপন জরুরি।এদিন পাকিস্তান দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন হাসান।সেখানেই এই মন্তব্য করেন তিনি।মহম্মদ আলি জিন্নাহের অবদানের কথা স্মরণ করে হাসান জানান, প্রতি বছর এই দিনটিকে পাকিস্তান দিবস হিসাবে পালন করা হয়। এই দিনটিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা একটি রাষ্ট্র গড়ার প্রস্তাব রেখেছিলেন জিন্নাহ।
আগামী ৩০ মার্চ তাজাকিস্থানের রাজধানী দুশানবেতে ভারত ও পাকিস্থান, দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর দেখা হওয়ার কথা।তবে দুই দেশের মধ্যে বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক হবে কিনা, সেবিষয়টি এখনও চূড়ান্ত নয়। ২০১৯ সালের অগস্টে জম্মু–কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে দেওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকে। এরপর ভারতে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূতকে ইসলামাবাদে ফেরত পাঠানো হয়। কিছুদিন আগে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছিলেন, ভারতকেই কাশ্মীর ইস্যুকে সামনে রেখে সুসম্পর্ক স্থাপনে এগিয়ে আসতে হবে।পাক সেনা প্রধান বাজওয়া জানান, অতীতের কথা ভুলে দুই দেশকেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তবে কাশ্মীর সমস্যা না মিটিয়ে দুই দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপন সম্ভব নয়।