গুজরাটের মৌরবি সেতু ভেঙেছিল রবিবার। তবে সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো সবার মৃতদেহ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নদীবক্ষে কাদায় এখনও আটকে বহু মৃতদেহ। একসঙ্গে এত সংখ্যক মৃতদেহ সাম্প্রতিককালে দেখেনি মৌরবি। মৌরবির শ্মশান এবং কবরস্থানের কর্মীরাও হতভম্ব। এখনও মৌরবিতে শোনা যাচ্ছে পরিজনদের কান্নার আওয়াজ। সেই হৃদয়বিদারক আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে শ্মশান এবং কবরস্থানের কর্মীদের মনও।
মৌরবির এক শ্মশানের কেয়াটেকার ভীম ঠাকুর সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘সাধারণত এই শ্মশানে সপ্তাহে দুই থেকে তিনজনের শেষকৃত্য হয়। তবে সোমবার ৯ জনের দেহ আনা হয়েছিল শেষকৃত্যের জন্য। মঙ্গলবারও দুই জনের মৃতদেহ আনা হয়েছিল।’ দাবি করা হয়, সোমবার মৌরবির বিভিন্ন শ্মশান ঘাটে অন্তত ৫০ জনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছিল। এদিকে এক কবরস্থানের কর্মীর কথায়, ‘মাসে আমরা খুব বেশি হলে ২০ থেকে ৩০টি কবর খুড়ি। এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা হইনি কখনও।’ মৌরবিকে সুন্নি মুসলমানদের সবচেয়ে বড় কবরস্থানের কর্মী সাজিদ পিলুদিয়া বলেন, ‘আমাদের সম্প্রদায়ের প্রায় ৪০ জন এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।’
মৌরবির অনেকেই বলছে, সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় ফিরে এসেছে ১৯৭৯ সালের মচ্ছু বাঁধ ভাঙার ভয়ঙ্কর স্মৃতি। সেবার প্রায় পুরো মৌরবি ভেসে গিয়েছিল জলের তোড়ে। দাবি করা হয়, সেই ঘটনায় মারা গিয়েছিল কয়েক হাজার মানুষ। আর এবার অন্তত পক্ষে ১৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন সেতু ভাঙার ঘটনায়। মচ্ছু নদীর জল পাম্প করে বের করে অনেক মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।