আজ, বৃহস্পতিবার বা আগামীকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ভ্যাকসিনগুলি বিমানে পরিবহণের জন্য বিশদ খসড়া তৈরি করেছে ভারত সরকার। ভ্যাকসিন বিতরণের প্রধান হাব পুনে থেকে সারা ভারতে পৌঁছে যাবে ভ্যাকসিন। একইসঙ্গে ভ্যাকসিন পরিবহণ ও বিতরণের সুবিধার জন্য বেশ কিছু মিনি হাব তৈরি করেছে সরকার। যেমন, কলকাতা ও গুয়াহাটি থেকে পূর্ব ভারতের সর্বত্র পৌঁছে যাবে ভ্যাকসিন।
সংশ্লিষ্ট দফতরের এক আধিকারিক নিজের নাম প্রকাশ্যে না এনে জানিয়েছেন, ‘সারা দেশে ভ্যাকসিন পরিবহণের জন্য একটি সাধারণ খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এটি শীঘ্রই স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হবে। আজ বা আগামীকাল থেকেই ভ্যাকসিন স্থানান্তরের কাজ শুরু করা হবে।’
কীভাবে, কোন পদ্ধতিতে করোনার ভ্যাকসিন এক জায়গা থেকে আর এক জায়গা নিয়ে যাওয়া হবে সে সংক্রান্ত একটি মডিউল চূড়ান্ত করেছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, ভ্যাকসিন বিলির কেন্দ্রীয় হাব করা হচ্ছে পুনে শহরকে। সেখান থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাবে ভ্যাকসিন। যাত্রীবাহী বিমান করেই ভ্যাকসিন পরিবহণের অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। বিমানের ক্যারিয়ারের একেবারে মাঝ বরাবর জায়গায় রাখা হবে ভ্যাকসিন। যেহেতু পুনে বিমানবন্দরটি ভারতীয় বায়ুসেনার অধীনে, তাই তারাও এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
সূত্রের খবর, ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য সারা দেশে মোট ৪১টি জায়গা (বিমানবন্দর) চূড়ান্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি করোনা ভ্যাকসিন পরিবহণের সুবিধার্থে সারা দেশে বেশ কয়েকটি মিনি হাব বানিয়েছে সরকার। উত্তর ভারতের জন্য, দিল্লি এবং কর্নালকে মিনি হাব করা হবে। পূর্ব ভারতের জন্য কলকাতা এবং গুয়াহাটিতে হবে ভ্যাকসিন বিলির মিনি হাব। গুয়াহাটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি নোডাল পয়েন্টও হবে। দক্ষিণ ভারতের জন্য মিনি হাব করা হচ্ছে চেন্নাই এবং হায়দরাবাদকে।
এর পাশাপাশি ইতিমধ্যে দেশজুড়ে কোভিড ভ্যাকসিন পরিবহণের ব্যাপারে বেশ কয়েকটি স্টেকহোল্ডার এবং কার্গো ও বিমানবন্দর অপারেটরদের সঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি অভ্যন্তরীণ বৈঠক হয়েছে। তাতেই এই সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।