টিকা নিয়েছেন। তবুও তৃতীয়বারের জন্য মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাননি। ২০২০ সালের জুলাই থেকে মোট তিনবার কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন মুম্বইয়ের এই ডাক্তার। সম্প্রতি জুলাই মাসেই তৃতীয়বার করোনা আক্রান্ত হন ডঃ শ্রুষ্টি হালারি। ২৬ বছর বয়সী এই ডাক্তার গতবছরে প্রথমবার কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর চলতি বছরে একমাসের মধ্যে দুই বার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তখন অবশ্য তাঁর মা-বাবা করোনা আক্রান্ত হননি। তবে এবার ডাক্তারের মা-বাবাও সংক্রমিত হয়েছেন। মুলুন্দের কোভিড সেন্টারে কর্মরত ছিলেন ডঃ হালারি। তবে বর্তমানে তিনি পোস্ট-গ্র্যাজুয়েশনের জন্য পড়াশোনা করতে ছুটিতে ছিলেন। এই সময়ে তাঁর করোনা সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কম ছিল।
সংবাদমাধ্যমকে এই বিষয়ে ডঃ হালারি বলেন, 'সত্যি কথা বলতে আমি জানি না কীভাবে আমি সংক্রমিত হলাম। প্রথমবার আমার করোনা সংক্রমণ হয়েছিল কারণ আমি রোগী দেখছিলাম। তবে দ্বিতীয়বার এবং তৃতীয়বার কীভাবে যে সংক্রমিত হলাম, বলতে পারব না।'
তিনি বলেন, 'আমি আলাদা ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতাম। আমার ঘরটি বিল্ডিংয়ের পঞ্চম তলায় ছিল। পড়াশোনার ফাঁকে শুধু পাঁচতলা থেকে নিচে নামতাম আমার কুকুরেল সঙ্গে হাঁটার জন্য। তবে সেই সময় আমি এন-৯৫ মাস্ক পরতাম। সচেতন থাকতাম। আর মাঝে মাঝে আমি লাইব্রেরি যেতাম।'
গতবছরের ১৭ জুন ডঃ হালারির আরটিপিসিআর রিপোর্ট তৃতীয়বারের জন্যে পজিটিভ আসে। এরপরে চলতি বছর ২৯ মে এবং ১১ জুলাই করোনা আক্রান্ত হন। এর আগে তিনি করোনা টিকা নিয়েছিলেন। ১১ জুলাই ডঃ হালারির অ্যান্টিজেন টেস্ট কাউন্ট ৫৬০০ ছিল। আটদিনেই তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। ডঃ হালারি জানান, তিনি কোভিশিল্ড টিকা নিয়েছেন। তবে টিকা যে ১০০ শতাংশ কার্যকর নয়, তা তিনি জানেন। কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারকদের দাবি, করোনার বিরুদ্ধে ৮৫ শতাংশ ককার্যর তাঁদের টিকা। ডঃ হালারির বক্তব্য, তিনি সেই অভাগা ১৫ শতাংশের দলে। ডঃ হালারি প্রথম দুই বার করোনা আক্রান্ত হওয়ার সময় হাসপাতালে ভর্তি হননি। তবে তৃতীয়বারের বেলায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। রেমডেসিভিরের মাধ্যমে তাঁর চিকিত্সা হয়। তাঁর মাকে ট্রাম্প ককটেল দেওয়া হয়েছিল। তাতে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।