প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার ইউক্রেনের সঙ্কট নিয়ে ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, পোলিশ রাষ্ট্রপতি আন্দ্রেজ ডুদা এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি চার্লস মিশেলের সাথে আলোচনা করেন। তিন নেতাকেই প্রধানমন্ত্রী সংঘর্ষ অবসানের বার্তা দেন বলে জানা গিয়েছে। মোদী ইউক্রেন ও রাশিয়া, দুই পক্ষকেই সংলাপে ফিরে আসার জন্য ফের আহ্বান জানান।
পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভ শহরে রুশ গোলাগুলিতে এক ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যুর পরপরই ইউরোপের তিন নেতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মোদী। বিষয়টি নিয়ে অবগত ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউক্রেনে এখনও হাজার হাজার ভারতীয় অটকে রয়েছেন। ইউক্রেনের পূর্ব অঞ্চলে প্রায় চার হাজার ভারতীয় রয়েছে। এই অঞ্চলেই মূলত লড়াই জোরদার হয়েছে দুই পক্ষের। এই আবহে মোদী ও ম্যাক্রোঁ উভয় নেতাই উদ্বেগ প্রকাশ করেন পরিস্থিতি নিয়ে।
দুই রাষ্ট্রনেতার ফোনালাপের বিষয়ে একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ম্যাক্রোঁ এবং মোদী এই নিরন্তর সংঘাত বন্ধের ডাক দিয়েছেন। পাশাপাশি ইউক্রেনে যেভাবে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।’ আলোচনার সময়, মোদী ভারতের অবস্থানের উপর জোর দিয়েছিলেন। তিনি জানান যে আন্তর্জাতিক আইন, রাষ্ট্রসংঘের চার্টার বজায় রাখা উচিত। পাশাপাশি তাঁর কথায়, সমস্ত রাষ্ট্রের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা ‘সমসাময়িক বিশ্বব্যবস্থার ভিত্তি’। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছেন মোদী।
এদিকে চার্লস মিশেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময়ও মোদী ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পরে মিশেল টুইট করে জানান, ইউক্রেনে ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যুতে তিনি সমদেনা জানান প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। এদিকে ভারতীয়দের ইউক্রেন থেকে দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে সাহায্যের জন্য পোলিশ রাষ্ট্রপতি আন্দ্রেজ ডুদাকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী।