বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ‘ধর্ষণ উপভোগ’ করতে বলে ক্ষমা চাইলেন কংগ্রেস বিধায়ক, তিরষ্কার মহিলা কমিশনের

‘ধর্ষণ উপভোগ’ করতে বলে ক্ষমা চাইলেন কংগ্রেস বিধায়ক, তিরষ্কার মহিলা কমিশনের

কর্ণাটকের প্রাক্তন স্পিকার তথা কংগ্রেস বিধায়ক রমেশ কুমার (হিন্দুস্তান টাইমস আর্কাইভ) (HT_PRINT)

রমেশ কুমার বিধানসভার স্পিকারের উদ্দেশে অধিবেশনে বলেন, ‘ধর্ষণ অনিবার্য হলে শুয়ে পড়ুন এবং উপভোগ করুন।’ 

‘ধর্ষণ উপভোগ’ করতে বলে ক্ষমা চাইলেন কংগ্রেস বিধায়ক, তিরষ্কার মহিলা কমিশনের

 

 

 

 

ধর্ষণ নিয়ে অসংবেদনশীল জঘন্য মন্তব্য করার পর শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইলেন কর্ণাটক বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার তথা কংগ্রেস বিধায়ক রমেশ কুমার। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন রেখা শর্মা শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় তাঁর ধর্ষণ সংক্রান্ত মন্তব্যের জন্য কর্ণাটকের কংগ্রেস বিধায়ক রমেশ কুমারের নিন্দা করেন। এদিকে নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে রমেশ কুমার বলেন, ‘আমি বিধানসভায় যে বক্তব্য রেখেছিলাম, তাতে যদি সমাজের কোনও অংশ, বিশেষ করে নারীরা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন তাহলে দুঃখ প্রকাশ করতে আমার কোনও দ্বিধা নেই।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রমেশ কুমার বিধানসভার স্পিকারের উদ্দেশে অধিবেশনে বলেন, ‘একটা কথা আছে যে ধর্ষণ অনিবার্য হলে শুয়ে পড়ুন এবং উপভোগ করুন। আপনি যে পরিস্থিতির মধ্যে আছেন ঠিক সেটাই।’ কংগ্রেস বিধায়করা তাদের নির্বাচনী এলাকায় বৃষ্টিজনিত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কথা বলার জন্য সময় চেয়েছিলেন তখন বিধানসভায় হট্টগোল হচ্ছিল। স্পিকার বিশ্বেশ্বর হেগড়ে কাগেরি সেই সময় বিধানসভায় বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। সেই সময় কুমার এই মন্তব্য করে বলেন, এই বিষয়টা হেগড়ের উপভোগ করা উচিত।

 

 

প্রসঙ্গত, কুমার নিজে বিধানসভার স্পিকার থাকাকালীন ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার অবস্থা ধর্ষিতার মত হয়ে গেছে। ধর্ষণ মাত্র একবার হয় এবং আপনি সেটিকে ছেড়ে দিলে তা সময়ের সঙ্গে ঠিক হয়ে যেত। কিন্তু যখন অভিযোগ করা হয় এবং অভিযুক্তকে জেলে পাঠানো হয়, তখন তদন্ত চলাকালীন একাধিক বার ধর্ষিত হতে হয়।’

 

বন্ধ করুন