সামনেই দেশের ৫ রাজ্যে হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচন। উত্তরপ্রদেশ থেকে গোয়া, মনিপুর থেকে পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ডে আপাতত এই ভোট পর্ব ঘিরে সাজো সাজো রব বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবিরে। এদিকে, মঙ্গলবার জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষ্যে দেশবাসীর প্রতি একাধিক বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, দেশের যাবতীয় ভোটে ভোটিং টার্নআউট যাতে ৭৫ শতাংশ হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'ভারতের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের বছরে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে ৭৫ শতাংশ ভোটিং টার্ন আউট।' এক্ষেত্রে তিনি দেশের পঞ্চায়েত স্তরের ও যাবতীয় সাধারণ নির্বাচনে এই ৭৫ শতাংশ ভোট দান নিশ্চিত করার বিষয়টি তুলে ধরেন। এমনকি তাঁর নিজের পার্টি বিজেপির কর্মকর্তাদেরও এই বিষয়টির দিকে লক্ষ্য রাখার বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদী। এদিন প্রধানমন্ত্রী নিজের ভাষণে বলেন, দেশের প্রথম নির্বাচনের পর থেকে সামান্য বেড়েছে দেশের ভোটিং শতাংশষ তবে তা এখনও কমতির দিকেই রয়েছে। এই দিকটিতে সমস্ত রাজনৈতিক দলেরই উচিত নজর দেওয়া। মোদী বলেন, দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে ভোটিং শতাংশ ৪৫ ছিল। এরপর ২০১৯ সালে সাধারণ নির্বাচনে ভোটিং শতাংশ গিয়ে দাঁড়ায় ৬৭ তে। এদিন নরেন্দ্র মোদী নিজের ভাষণে বলেন, 'মহিলা ভোটারদের ভোটিং শতাংশ গত কয়েক বঠরে বেড়েছে।' বহু জায়গায়, ভোটদানের ক্ষেত্রে মহিলারা পুরুষদেরও ছাপিয়ে গিয়েছেন বলেও এদিন বার্তা দেন মোদী। তবে সর্বসাকুল্যে যাতে ভোটিং শতাংশ বাড়ে, তার দিকে নজর দেওয়ার বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, এদিনের ভাষণে মোদী বারবার উল্লেখ করেন শহরাঞ্চলের ভোটদানের শতাংশের। তিনি বলেন, শহরাঞ্চলে ভোটদানের শতাংশ অনেকটাই কম। যেখানে মানুষ শিক্ষিত, সেখানে ভোটদানের ক্ষেত্রে মানুষের এই অনীহা বেশ উদ্বেগের বিষয়। মোদী বলেন, 'শহরাঞ্চলে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় ইস্যুগুলি নিয়ে কথা বলে থাকেন, তবে ভোট দিতে অনীহা থেকে যায়। ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে এই বিষয়টি পরিবর্তিত হওয়া দরকার।' একই সঙ্গে তিনি নির্বাচন কমিশনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। দেশে ভোটদানের শতাংশ যাতে বৃদ্ধি করা যায়, তার দিকে তাকিয়ে নির্বাচন কমিশন যে সমস্ত বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে, তা আলাদা করে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একদেশ, এক ভোট-এর ভাবনা কতটা কার্যকরী তা নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। বারবার ভোটের ফলে যেভাবে উন্নয়নের ধারা রুদ্ধ হয়, তা নয়া ভাবনায় হবে কি না, তা নিয়ে ডিবেট হওয়া প্রয়োজন বলে মত পোষণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও তিনি এদিন বিজেপি কর্মীদের বলেন, যাতে প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে তাঁরা ভোটার তালিকা সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করে।