পরমাণু বোমাবাহী সাবমেরিনের সংখ্যা বৃদ্ধির অনুমোদন চাইছে নেভি
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 09 Apr 2021, 09:34 AM ISTনেভির নয়া পরিকল্পনার মূলে ৬টি নতুন পারমাণবিক শক্তিচালিত অ্যাটাক সাবমেরিন। তার পাশাপাশি নেভি ১৮টি নতুন ডিজেল অ্যাটাক সাবমেরিন চায়।
নেভির নয়া পরিকল্পনার মূলে ৬টি নতুন পারমাণবিক শক্তিচালিত অ্যাটাক সাবমেরিন। তার পাশাপাশি নেভি ১৮টি নতুন ডিজেল অ্যাটাক সাবমেরিন চায়।
লক্ষ্য ইন্দো-প্যাসিফিকে শক্তি বৃদ্ধি। আর সেই উদ্দেশ্যেই পরমাণু বোমাবাহী সাবমেরিনের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে চাইছে ভারতীয় নেভি। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্জি জানানো হতে পারে।
নেভির নয়া পরিকল্পনার মূলে ৬টি নতুন পারমাণবিক শক্তিচালিত অ্যাটাক সাবমেরিন। তার পাশাপাশি নেভি ১৮টি নতুন ডিজেল অ্যাটাক সাবমেরিন চায়।
ডিজেল সাবমেরিনগুলিতে থাকবে নয়া এয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রপালশান সিস্টেম, সংক্ষেপে AIP । গত মাসেই নয়া প্রযুক্তির ট্রায়াল সম্পন্ন করে DRDO । এর মাধ্যমে সাধারণের চেয়েও আরও বেশি সময় একটানা জলের নিচেই থাকতে পারবে ভারতীয় নেভির সাবমেরিন। তাছাড়া আরও বেশি নিঃশব্দে চলা ফেরা করা যাবে।
এছাড়া মিসাইলের ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও নজর দিয়েছে DRDO। শীঘ্রই নতুন K5 মিসাইলের পরীক্ষামূলক উত্ক্ষেপন করার পরিকল্পনায় রয়েছে DRDO। সাবমেরিনে ব্যবহারযোগ্য এই মিসাইল প্রায় ৫,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরে শত্রুপক্ষের এলাকায় আঘাত হানতে পারে।
এছাড়া আগামী ২০২২ সালে, স্বাধীনতার ৭৫ তম বছরে INS আরিঘাট পাবে নেভি। তাতেও থাকছে K-15 ও K-4 পারমাণবিক মিসাইল। দুটিই যথাক্রমে ১,৫০০ ও ৩,৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যে নির্ভুলভাবে বিস্ফোরণে সক্ষম।
ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন প্রস্তুতিতে হাত এগিয়ে দেবে ফ্রান্স। আগামী ৮ মে ভারত-ইউরোপীয় ইউনিয়নের আলোচনায় এ বিষয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আলোচনা হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে। এই আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও দৃঢ় হবে বলে ধারণা কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
নেভির কনফারেন্স সূত্রে খবর, চলতি বছরেই সাগরে পাড়ি দিতে পারে বিশাল এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার আইএনএস বিক্রান্ত। তার পরেই পাখির চোখ পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিকল্পনাগুলির মূলে ইন্দো-প্যাসিফিকে শক্তি প্রদর্শন ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার প্রয়াস। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকেও বড় নেভি রয়েছে চিনের। যদিও প্রযুক্তিগত দিক থেকে এখনও এগিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এক্ষেত্রে জলে ভারসাম্য বজায় রাথতে হলে শক্তি বৃ্দ্ধিই একমাত্র পথ। আর সেই কারণেই একের পর এক নয়া প্রযুক্তির মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে নৌবাহিনী, মত বিশেষজ্ঞদের।