নওয়াজ শরিফ। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। বয়স ৭৩ বছর। প্রায় চার বছর তিনি ইংল্যান্ডে স্বেচ্ছায় অন্তরীন ছিলেন। সেই নওয়াজ শরিফ শনিবার ফিরে আসেন পাকিস্তানে। আর এরপরই এনিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ইমরান খানের দলের অন্দরে।
ইমরানের পার্টি তেহরেক-ই-ইনসাফ পার্টি জানিয়েছে, একজন সাজাপ্রাপ্তকে এভাবে অভ্যর্থনা জানানো হল। পাকিস্তানের আইনি সিস্টেম পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে পিএমএলএনের মাধ্যমে।
এতদিন পরে ফিরলেন দেশে। তাঁর অনুরাগীরা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেও চটে লাল ইমরানের পার্টি। সব থেকে বড় কথা ইমরান খান যখন জেলে তখন এন্ট্রি নিলেন নওয়াজ শরিফ। একেবারে যথাযথ সমীকরণ। এবার জল কোনদিকে গড়ায় সেটাই দেখার।
এদিকে পিটিআই নেতা মুনিস এলাহির দাবি, যে কাউকে একদিন লাডলা বলতেন তিনি তো এখন নিজেই লাডলা।
তাঁর মতে নওয়াজ শরিফের মতো একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি দেশের মধ্য়ে যেখানে খুশি যাবেন। এসব কী হচ্ছে!
নওয়াজ শরিফ অবশেষে দেশে ফিরেছেন। সেখানে তাকে তাঁর দলের নেতা কর্মীরা একেবারে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। তাঁর ভাই তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ সুপ্রিমো আবার পাকিস্তানে সঠিক রাস্তায় নিয়ে আসতে ফিরে এসেছেন।
তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আমাদের নেতা নওয়াজ শরিফ আসছেন।….তিনি আসছেন এই দেশকে আবার সঠিক পথে চালাতে। ভাগ করতে নয়। মানুষের মধ্যে ভালোবাসা বিতরনের জন্য় তিনি আসছেন। ঘৃণা ছড়ানোর জন্য নয়।
এদিকে দুবাই বিমানবন্দরে নওয়াজ শরিফ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আমি চার বছর পরে ফিরছি। আমি যখন বিদেশে চলে গিয়েছিলাম তখন মনের মধ্যে কোনও আনন্দ ছিল না। তবে এবার আমি খুশি।
এদিকে বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত তাকে রক্ষাকবচ দিয়েছে।
২০১৯ সালে তিনি লন্ডন চলে গিয়েছিলেন। চার সপ্তাহের জন্য তিনি আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন। তখনই তিনি বিদেশ চলে যান চিকিৎসার জন্য। আল আজিজিয়া দুর্নীতি মামলায় তিনি সাত বছরের মধ্যে অর্ধেক খেটেছিলেন।