ন্যাশানাল এলিজিবিলিটি এনট্রান্স টেস্টের(NEET) রেজাল্ট বেরিয়েছে বুধবার রাতে। আর তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১৯ বছর বয়সী এক ছাত্রী আত্মহত্যা করলেন। সূত্রের খবর, নিট পরীক্ষায় সফল হতে না পেরেই তিনি চরম পথ বেছে নিলেন। চেন্নাইয়ের থিরুমুল্লাভিয়াল এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোররাতে বাড়ির একটি ঘর থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মা প্রথম দেখতে পান মেয়ের দেহটি ঝুলছে। এরপর তাকে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্থানীয় থানার ইনস্পেক্টর বিজয় রাঘবন হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, এনিয়ে ওই ছাত্রী দ্বিতীয়বারের জন্য় পরীক্ষায় বসেছিলেন। তার মা একটি স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা। ওই ছাত্রী নিট পাস করলে ফিলিপাইন্সে চলে যেতেন। সেখানেই এমবিবিএস করতেন তিনি। কিন্তু নিট পাস না করায় তিনি হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন।
তবে এবারই প্রথম নয়, ২০১৭ সাল থেকে ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা হিসাবে নিট বাধ্যতামূলক হওয়ার পর থেকেই তামিলনাড়ুতে একের পর এক ছাত্রছাত্রী নিট পরীক্ষার ভয়ে অথবা পাস করতে না পেরে সুইসাইড করছেন। সেকারনে নিট বন্ধ করার জন্যও একাধিক রাজনৈতিক দল দাবি জানিয়েছিল।
স্কুল শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, কেউ চরম সিদ্ধান্ত নেবেন না। নিট বন্ধ করার জন্য সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, নিটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ভয় পাচ্ছিলাম আর কেউ যেন এমন সিদ্ধান্ত না নিয়ে ফেলেন। বার বার ভরসা দেওয়ার পরেও ছাত্রছাত্রীরা চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছেন। ওই ছাত্রীর মৃত্যুতে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি।