কাজের সময় থেকে শুরু করে হাতে প্রাপ্ত বেতন। কর্মসংস্থান এবং কর্মসংস্কৃতির বিভিন্ন দিক পরিবর্তন হবে শীঘ্রই। নতুন শ্রমবিধি কার্যকর হলে দেশের কাজের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বদল আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক চারটি শ্রম কোডের অধীনে এই নিয়মগুলি চূড়ান্ত করেছে। শীঘ্রই বাস্তবায়িতও হবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর ইতিমধ্যেই মজুরি, শিল্প, সামাজিক নিরাপত্তা এবং পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কাজের অবস্থা (OSH) এই চারটি বিস্তৃত কোড প্রকাশিত হয়েছে।
নতুন শ্রম কোডে আমাদের কী প্রভাব পড়বে?
কাজের সময়
নতুন শ্রম কোড চালু হলে, নিয়মিত কাজের সময় বর্তমানের ৯ ঘণ্টা থেকে বেড়ে যাবে। উর্ধসীমা দিনে ১২ ঘণ্টা হতে পারে। যদি কোনও কোম্পানি ১২ ঘণ্টার শিফট বেছে নেয়, সেক্ষেত্রে ৪ দিন কাজ করে সপ্তাহের বাকি ৩ দিন বাধ্যতামূলক ছুটি দিতে হবে। সব মিলিয়ে, সপ্তাহের মোট কাজের সময় ৪৮ ঘণ্টাই থাকবে। ফলে ৫ দিন ৯ বা ৮ ঘণ্টা কাজের তুলনায় বেশিই লাভ হবে।
ছুটি
আগের নিয়ম অনুযায়ী ছুটি চাওয়ার জন্য বছরে ন্যূনতম ২৪০ কার্যদিবস কাজ করতে হত। এখন তা কমিয়ে ১৮০ কার্যদিবস করা হয়েছে।
চার দিন কাজ, তিন দিন ছুটি
নতুন শ্রমবিধির আওতায় নিয়োগকর্তারা কর্মীদের সপ্তাহে প্রচলিত পাঁচদিনের পরিবর্তে, চার দিন কাজ করার অনুমতি দিতে পারেন। তবে তাঁদের সেক্ষেত্রে দিনে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করতে হবে। বদলে ৩ দিন করে ছুটি পেয়ে যাবেন।
হাতে পাওয়া বেতন কমে যাবে
কর্মচারী এবং নিয়োগকর্তার PF কনট্রিবিউশনে বৃদ্ধি। ফলে হাতে পাওয়া বেতনের অঙ্কটা কমে যাবে। নতুন কোডের অধীনে কর্মচারীদের ভবিষ্যত তহবিলের কনট্রিবিউশন মোট বেতনের ৫০ শতাংশের অনুপাতে হতে হবে। অর্থাৎ টেক হোম স্যালারি কমবে।