লোকসভা ভোট ২০২৪ সালের রণদামামা বেজে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিজেপি বিরোধীদলগুলি জোটের প্রসঙ্গে আলোচনা করতে শুরু করে দিয়েছে। বিহারের পাটনায় ইতিমধ্যেই বিরোধীদের হাইভোল্টেজ বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। এরপর বিরোধীদের পরবর্তী বৈঠক ছিল ১৩-১৪ জুলাই। তবে তা পিছিয়ে যায় বলে জানা যায়। পরে জানানো হয় যে এই বৈঠক ১৭-১৮ জুলাই নাগাদ হতে চলেছে। আর তা এবার হবে প্রযুক্তি নগরী বেঙ্গালুরুতে।
উল্লেখ্য, বিহারের পাটনায় যে বিরোধীদলগুলি জোট বেঁধে বৈঠক করেছিল, সেই সমস্ত দলকেই আমন্ত্র করছে কংগ্রেস। আর কংগ্রেসের আমন্ত্রণে এই মেগা-বৈঠক হাত শিবির শাসিত কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে হচ্ছে। সোমবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল জানিয়েছিলেন, ‘বৈঠক বাদল অধিবেশনের আগে হবে।’ সেই মতোই দেখা যাচ্ছে যে এই বৈঠক ২০ জুলাইয়ের আগে শুরু হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের তফে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালের সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হবে ২০ জুলাই। তার আগেই বিরোধী শিবির জোট আলোচনায় অংশ নিচ্ছে। যা জাতীয় রাজনীতিতে বেশ প্রাসঙ্গিক বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, বিহারের পাটনায় যে বৈঠক হয়েছিল, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস, লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি, শরদ পাওয়ারের এনসিপি, নীতীশ কুমারের জেডিইউ, উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের শিবসেনার নেতারা ছিলেন। সেই জায়গা থেকে কংগ্রেসের ডাকে বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্টি তৃণমূলও আমন্ত্রিত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এক্ষেক্রে বাংলায় কংগ্রেস ও তৃণমূলের আসন ভাগের ভোট অঙ্ক ঘিরেও জল্পনা তুঙ্গে রয়েছে। সদ্যই এক সাংবাদিক সম্মেলনে লোকসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। এদিকে, সামনেই রয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। সেখানে তৃণমূল ও কংগ্রেস সম্মুখ সমরে। এরপর এই জায়গা থেকে বাংলায় অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন শিবির ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ক্যাম্প কোনপথে হাঁটে সেদিকে নজর সকলের।
এদিকে, মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে খেলা ঘোরানোর লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছে এনসিপির বিদ্রোহী গোষ্ঠী। সেখানে শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার যোগ দিয়েছেন এনডিএতে। সঙ্গে রয়েছেন ৯ বিধায়ক। এনসিপি হেভিওয়েট প্রফুল্ল প্যাটেলও এনডিএর দিকে। এই অবস্থায় মহারাষ্ট্রের নিরিখে জোট অঙ্ক কী হতে পারে, তা সকলের নজরে থাকবে। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস নেতা বেণুগোপাল বলছেন,' কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী অভিযোগ তুলেছিলেন এনসিপি নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির। এবার তো সকলে দেখল মহারাষ্ট্র নিয়ে এই নাটক। '