আজকে সকাল থেকেই বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, অনাস্থা প্রস্তাব আলোচনায় বিরোধীদের পক্ষে 'ওপেনিং' করতে নামবেন রাহুল গান্ধী। এমনকী লোকসভায় কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক কে সুরেশও বলে দেন যে রাহুল গান্ধী আজ প্রথম বক্তব্য রাখবেন। তবে সংসদে ফিরে এলেও আজ অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে প্রথমে বলতে ওঠেননি রাহুল গান্ধী। অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে বিরোধীদের হয়ে আজ প্রথম বক্তব্য পেশ করেন গৌরব গগৈ। এই নিয়ে টিটকিরি শুনতে হয় রাহুল গান্ধীকে। বিজেপি সাংসদরা বারবার প্রশ্ন করতে থাকেন, কী এমন হল! ১১টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত ঠিক ছিল রাহুল গান্ধী প্রথমে বক্তব্য পেশ করবেন। তবে ১২টার সময় তা বদলে গেল? এই আবহে গৌরব গগৈ পালটা আক্রমণ শানান সরকার পক্ষকে। তিনি বলেন, 'লোকসভা স্পিকারের চেম্বারে যে কথা হয়েছে তা প্রকাশ করা ঠিক নয়। প্রধানমন্ত্রী মোদী স্পিকারের ঘরে কী বলেন তা কি আমরা এখানে বলব?' গৌরবের এই কথার পরেই আগুন হয়ে যান অমিত শাহ। তিনি চ্যালেঞ্জ করেন, 'বলুন প্রধানমন্ত্রী কী বলেন।'
এদিকে অধিবেশনের আগে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর ক্যামেরার সামনে গৌরব গগৈ নিজেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে রাহুলই প্রথম বক্তা হবেন বিরোধীদের তরফে। তিনি বলেছিলেন, 'রাহুল গান্ধী কী বলবেন, তা শোনার জন্য অপেক্ষা করছি আমরা। তিনি মণিপুর সফর করেছেন এবং এরই মধ্যে তিনি ভারতীয় সমাজের বিভিন্ন অংশের সঙ্গেও দেখা করেছেন। তিনি মণিপুরের অর্থনীতি ও জমিনি হাল হকিকতের বিষয়ে বিশদে জানেন। সুতরাং, তাঁর এই বিষয়ের ওপর মূল্যবান দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। আমরা সকলেই তা শোনার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।'
এদিকে অনাস্থা প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে গৌরব গগৈ বলেন, 'দেশের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী সংসদে আসুন, সমবেদনা জানান, এটাই চেয়েছিলাম আমরা। মণিপুরের মানুষ যাতে জানতে পারে যে, গোটা দেশ তাঁদের পাশে রয়েছে। কিন্তু তা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী মৌনব্রত পালন করছেন। না লোকসভা, না রাজ্যসভা। কোথাও তিনি মুখ খুলতে রাজি হননি। তাঁর মৌনব্রত ভাঙতেই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছি আমরা। প্রধানমন্ত্রী কেন নীরব? এর কারণ হল, মণিপুর হিংসা নিয়ে কথা বললে মণিপুরে বিজেপি-র ডাবল ইঞ্জিন সরকারের ব্যর্থতা স্বীকার করতে হবে। মণিপুর অথবা উত্তর পূর্বাঞ্চলে এই প্রথম হিংসার ঘটছে না। এর আগেও ঘটেছে এমন ঘটনা। আমি নিজে সেখানকার বাসিন্দা। তাই আমি জানি।'