সরকার বাধ্য হয়ে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন৷ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ভর্তুকি দেওয়া রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না৷'
‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দিন জানতে চায়’ ইউটিউব টকশো'তে যোগ দিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন৷ এবারের আলোচনার বিষয় ছিল: দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির রাজনীতি৷ অনুষ্ঠানে অপর অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু৷
ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লিগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘কোনও কিছুরই মূল্য বৃদ্ধি সরকারের জন্য সুখকর নয়৷ দেশের স্বার্থে,অর্থনৈতিক স্বার্থেই সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে৷’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থায় ভর্তুকি দিয়ে ডিজেল দেওয়া এই মুহূর্তে রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না৷ সম্ভব হলে কখনওই জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার এটা বৃদ্ধি করত না৷ কেননা এই করোনা মহামারীর মধ্যেও কর্ম সচল রাখতে ইনডিরেক্টলি ভর্তুকি প্রদান করতে হচ্ছে, সামাজিক নিরাপত্তা বলয়কে বৃদ্ধি করতে হয়েছে৷ মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে৷ পাশাপাশি সুখবর হচ্ছে করোনা মধ্যেও মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে৷’
বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম ভারতের চেয়ে কম থাকায় পাচারের শঙ্কা থাকে বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘পাচারের কথা বলে সরকার জনগণকে শাস্তি দিচ্ছে৷’ বিজিবি ও প্রশাসনকে কেন সরকার ‘পুষছে' সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি৷
বিএনপির আন্দোলন নিয়ে দর্শকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটা সীমাবদ্ধতার মধ্যে ঢুকে গিয়েছে৷ যেটা এক পক্ষীয় শাসন বলতে পারবেন৷ রাজনীতি বলতে যা বোঝায় সেটা এতটাই নিয়ন্ত্রিত এবং ভয়ংকর অবস্থায় এসেছে যে স্বাভাবিক অবস্থা বলে কিছু নাই৷’ তিনি বলেন, ‘ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে কথা বলার কারণে আমি রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আসামী৷... আর মামলা হোক সেটা আমি চাইব না৷ নিজস্ব সেন্সরশিপের মধ্যে আমাকে বসবাস করতে হচ্ছে৷’
আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘আওয়ামী লিগ কোনও আন্দোলন বা ভিন্নমত দমন করতে চাইছে না৷ নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা বিএনপিকে সহই একটি অর্থবহ নির্বাচন করতে চাই৷ আমরা কোনওভাবেই বিতর্কিত নির্বাচন করতে চাই না৷’