সম্প্রতি ফাইজার এবং মডার্নাকে আইনি সুরক্ষাকবচ প্রদান কেরছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জেরে টিকা প্রয়োগের পর যদি কোনও ব্যক্তি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হন, তাহলে তা নিয়ে টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থার থেকে কোনও ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবেন না তিনি। মার্কিন সংস্থারা এই রক্ষাকবচ পেতেই কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারক সেরাম ইনস্টিটিউটও এই রক্ষাকবচ চেয়ে আবেদন করে কেন্দ্রের কাছে। তবে ভারত বায়োটেক এদিন দাবি করে, কেন্দ্রের কাছে তাঁরা এরকম কোনও আবেদন করেনি। পাশাপাশি এদিন তাঁদের তরফ থেকে দাবি করা হয়, কেন্দ্রকে প্রতি ডোজ ১৫০ টাকা করে বিক্রি করা ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে তাঁদের জন্যে।
দেশীয় টিকা কোভ্য়াক্সিনের দাম অন্য দুটির থেকে বেশি হওয়ায় বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, প্রতি ডোজের জন্য সরকার তাদের যে দাম দিচ্ছে, তা যথেষ্ট নয়। এভাবে বেশিদিন তাদের পক্ষে চালানো সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে এই সংস্থা।
এ ব্যাপারে বিবৃতি দিয়ে ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, অন্য টিকার থেকে দাম ভিন্ন হলেও কোম্পানি প্রতি ডোজে ২৫০ টাকারও কম পাচ্ছিল। সরকার প্রচুর পরিমাণে টিকা কিনলেও ডোজপ্রতি ১৫০ টাকা করে দেবে। মাত্র ২৫ শতাংশ কোম্পানি বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে বিক্রি করতে পারবে। এতে তাদের খরচ উঠছে না।
ভারত বায়োটেকের বক্তব্য, ভারত সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, আজকের তারিখে আমাদের মোট উৎপাদিত কোভ্যাকসিনের ১০ শতাংশেরও কম বেসরকারি হাসপাতালগুলি নিয়েছে। ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, টিকা প্রস্তুত করা, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ও সেট আপ তৈরি করার জন্য তারা এখনও পর্যন্ত ৫০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করে ফেলেছে। কিন্তু সেই তুলনায় সরকার অনেক কম দামে টিকা কিনছে।
কোম্পানি জানায়, সরকার প্রতি ডোজ ১৫০ টাকা দিয়ে টিকা কিনবে। এটা প্রতিযোগিতামূলক দর নয়, দীর্ঘদিন এই দামে বিক্রি করা যাবে না। সরকারের কাছে কম দামে টিকা বিক্রি করে তাদের খরচ উঠছে না বলে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ভারত বায়োটেক।