করোনা মানেই আতঙ্কের আরেক নাম! বিশ্ব জুড়ে এই আতঙ্ক ক্রমাগত দানা বেঁধেছে। করোনা ভাইরাসের একের পর এক ভ্যারিয়েন্ট থাবা বসিয়েছে মানবজাতিতে। আর সেই ভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন সময়ে উঠে এসেছে নানান গবেষণার তথ্য। গবেষণায় বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনেটেডরা করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে, তা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় বুস্টারের চেয়েও বেশি কার্যকরী।
ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক বায়ো এনটেক এসই এবং ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা কোভিডের ভ্যাকসিন নিয়েছেন, আর তার পর ওমিক্রনে সংক্রমিত তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কোভিডের যেকোনও ভ্যারিয়েন্টের মোকাবিলা বুস্টারের চেয়েও বেশি করতে পারবে। bioRxiv সার্ভারে এই গবেষণা উঠে এসেছে। তবে এই গবেষণা পত্রের বিজ্ঞানীরা এই বিষয়টিতেও সতর্ক করেছেন যে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কেউ যেন আবার ইচ্ছা করে ওমিক্রন বাঁধিয়ে না বসেন এই গবেষণায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে। পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা ইমিউনোলজি ইনস্টুটিউটের ডিরেক্টর জন ওয়্যারি বলছেন, যাঁদের সদ্য ওমিক্রন হয়েছে তাঁদের প্রয়োজন কয়েকদন বাদ দিয়ে বুস্টার শট নেওয়া। মাতৃ দিবস পালন হলে স্ত্রী দিবস কেন নয়! মোদী সরকারের এই মন্ত্রী নয়া দাবিতে সরব
এদিকে গবেষণা বলছে, যে ভ্যাকসিন ওমিক্রন নিধন করতে পারে, সেই ভ্যাকসিনই নেওয়া প্রয়োজন বুস্টার হিসাবে। তাতে করোনার যাবতীয় ভ্যারিয়েন্টকেই মারা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে ওমিক্রন আক্রান্তদের নাকের মিউকাসে থাকে অ্যান্টিবডি। যা যেকোনও রোগের প্রতিরোধ সক্ষম বলে দাবি গবেষকদের। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা ভ্যাকসিন নেননি অথচ আক্রান্ত হয়েছেন ওমিক্রনে তাঁদের দেহে এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই। উল্লেখ্য, চিন ও উত্তর কোরিয়ায় যেভাবে ওমিক্রন ক্রমাগত হানা দিয়েছে, তার নিরিখে এই গবেষণা বেশ খানিকটা কার্যকরী বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা, মৃতের সংখ্যা ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া করোনা রোগীর সংখ্যা সেই তুলনায় অনেকটাই কম।