পৌলমী ঘোষ
সংসদের বাজেট অধিবেশনের শেষ দিন। বৃহস্পতিবার পার্লামেন্ট থেকে বিজয় চক পর্যন্ত তিরঙ্গা মার্চে অংশ নিলেন বিরোধীরা। এদিকে এদিনও আদানি ইস্যুতে কেন্দ্র করে সংসদে তুমুল হইহট্টগোল হয়। আদানি ইস্যুতে যৌথ সংসদীয় কমিটি তৈরির দাবি তুলেছেন বিরোধীরা। এদিন কংগ্রেস তিরঙ্গা মার্চে অংশ নেয়। এমনকী ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, এনসিপি, ডিএমকে, বামেরা এই পদযাত্রায় অংশ নেন। এরপর কনস্টিটিউশন ক্লাবে প্রেস মিট করেন তারা। তাদের দাবি, সরকার আসলে চায় না যে সংসদ ভালোভাবে চলুক।
এদিকে এদিন রাজ্যসভা দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি করা ছিল। এমনকী কংগ্রেস সহ ১৩টি বিরোধী দল স্পিকারের ডাকা চা চক্র বয়কট করেছিল।
গোটা ঘটনায় বিরোধীদের তীব্রভাবে বিঁধেছেন মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি বলেন, বিরোধীরা সংসদের কাজকর্মে বাধা দিচ্ছেন। তারা কালো কাপড় পরে পার্লামেন্টকে অপমান করেছেন। তিনি বলেন, একজন নেতার জন্য কংগ্রেস কী করতে পারে সেটা গোটা দেশ দেখছে। আমরা দেখলাম কংগ্রেসের গ্যাং কীভাবে সুরাট আদালতে দল বেঁধে গিয়ে বিচারব্যবস্থাকে চাপে রাখার চেষ্টা করলেন। আর একজন কংগ্রেস নেতা বলছেন গান্ধী পরিবারের জন্য আলাদা আইন থাকা দরকার।
এদিকে কংগ্রেস এমপি কেসি বেনুগোপালন জানিয়েছেন, আসলে সরকার চায় না সংসদ ঠিকঠাক করে চলুক। আদানি ইস্যু নিয়ে কেন আলোচনা করতে চায় না সরকার?
এবার এনিয়ে মুখ খুলেছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেন, সরকার চায় না সংসদ ঠিকঠাক চলুক। রাহুল গান্ধী লোকসভায় বলতে চেয়েছিলেন, আদানির সম্পত্তি গত আড়াই বছরে কীভাবে এতটা বেড়ে গেল? খাড়গে বলেন, যদি যৌথ তদন্ত কমিটি তৈরি হয় তবেই বিরোধীরা তাদের সব নথি দেখার সুযোগ পাবেন। কিন্তু ওরা বার বার বিষয়টি উলটে দিতে চেষ্টা করছেন। রাহুল গান্ধীর ইউকে বক্তব্য নিয়ে তারা এখন মাফ চাওয়ার দাবি করছে। কিন্তু তারা কিছুতেই যৌথ তদন্ত কমিটি চাইছেন না। আসলে ডাল মে কুল কালা হ্যায়। কিছু একটা যোগসূত্র তো আছেই।
আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং জানিয়েছেন, আদানি ইস্যুতে বিরোধীদের এককাট্টা হওয়া দরকার। রাহুল গান্ধীর পদ খারিজ করে দেওয়ার মাধ্যমে শাসক এই বার্তা দিতে চাইছেন যে আপনারা কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবেন না।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup