RSF-এর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থায় আগের তুলনায় আরও বেশি হারে সাংবাদিকদের কারাবন্দি করা হচ্ছে। চলতি বছরের এই পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন তিনি। সাংবাদিকতার স্বাধীনতা, নিরপেক্ষতার পক্ষে সওয়াল করে 'এই ধরনের নীতিহীন সরকারকে প্রতিহত' করার বার্তা দেন তিনি।
1/6 ২০২২-এ বিশ্বজুড়ে মোট ৫৩৩ জন সাংবাদিককে বন্দি করা হয়েছে। বিশেষত ইরানে বিক্ষোভ পরিস্থিতিতে কারাবাসে গিয়েছেন বহু সংবাদযোদ্ধা। ফ্রান্সের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের (RSF) বাত্সরিক রিপোর্টে এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স
2/6 কারারুদ্ধ সাংবাদিকদের অর্ধেকেরও বেশি মাত্র ৫টি দেশের। চিন এই তালিকায় সর্বোচ্চ। সেখানে মোট ১১০ জন সাংবাদিককে বন্দি করা হয়েছে। তারপরেই রয়েছে মায়ানমার (৬২), ইরান (৪৭), ভিয়েতনাম (৩৯) এবং বেলারুশ (৩১)। ফাইল ছবি: রয়টার্স
3/6 RSF-এর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থায় আগের তুলনায় আরও বেশি হারে সাংবাদিকদের কারাবন্দি করা হচ্ছে। চলতি বছরের এই পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন তিনি। সাংবাদিকতার স্বাধীনতা, নিরপেক্ষতার পক্ষে সওয়াল করে 'এই ধরনের নীতিহীন সরকারকে প্রতিহত' করার বার্তা দেন তিনি। ফাইল ছবি: রয়টার্স
4/6 এক্ষেত্রে লক্ষণীয়, এই ইরানই একমাত্র দেশ যে কিনা গত বছর এই তালিকায় ছিলই না। গত সেপ্টেম্বরে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির হেফাজতে মৃত্যুর প্রতিবাদে সেদেশে বিক্ষোভ শুরু হয়। আর তার পর থেকে একের পর এক সাংবাদিকদের কারাবন্দি করা হয়। প্রতিবাদীদের সপক্ষে খবর করার অভিযোগে হাজতে যেতে হয় তাঁদের। ৩৪ জন সাংবাদিককে কারাবন্দি করে ইরান। ফাইল ছবি: রয়টার্স
5/6 বিশ্বজুড়ে কারাগারে থাকা নারী সাংবাদিকের সংখ্যাও সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। ২০২১ সালে কারাবন্দি মহিলা সাংবাদিকদের সংখ্যা ছিল ৬০ জন। সেখান থেকে ২০২২-এ তা বেড়ে ৭৮-এ দাঁড়িয়েছে। RSF-এর রিপোর্টে ইরানে গ্রেফতার হওয়া ১৫ জন মহিলা সাংবাদিকের উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ইরানি নিলুফার হামেদি এবং এলাহে মোহাম্মদীর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর থেকে এঁরা দু'জনেই ইরানে কট্টরপন্থী শাসন, মহিলাদের পরিস্থিতির বিষয়টি বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছিলেন। তাঁরা শুধু কারাবন্দি হয়েছেন, তাই নয়। বর্তমানে তাঁরা সম্ভাব্য মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। ফাইল ছবি: রয়টার্স
6/6 প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, মোট বন্দি সাংবাদিকদের তিন-চতুর্থাংশই এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির। ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে রাশিয়াতেও নিরপেক্ষ সাংবাদিকদের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ বেড়েছে। ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ৫৭-এ পৌঁছে গিয়েছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স