ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) পাকিস্তানকে তাদের 'ধূসর তালিকা'তেই রেখে দিল ফের। রাষ্ট্রসংঘের নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা এবং কমান্ডারদের বিরুদ্ধে তদন্ত এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের মামলার বিচার দ্রুত গতিতে করতে বলা হয়েছে পাকিস্তানকে। পাকিস্তানকে দেওয়া অ্যাকশন প্ল্যানের ৩৪টি পয়েন্টের মধ্যে ২৬টি সম্পন্ন হয়েছে।
আসলে সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিকভাবে মদত দেয় পাকিস্তান, এই অভিযোগের ভিত্তিতে সেই ২০১৮ সালের জুন মাসেই এফএটিএফ পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করেছিল। ইসলামাবাদকে ২৭ পয়েন্টের অ্যাকশন প্ল্যান দিয়েছিল এফএটিএফ। পরে আরও ৭টি পয়েন্ট যুক্ত হয়। তার মধ্যে এখনও ২৬টি সম্পন্ন করতে পেরেছে পাকিস্তান। এমনকি রাষ্ট্রসংঘের নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতাদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান।
এফএটিএফের রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তান ৩০টি পয়েন্টে কাজ করেছে বা সম্পন্ন করেছে। এতে বলা হয়েছে যে এফএটিএফের আঞ্চলিক অংশীদার এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ (এপিজি) থেকে প্রাপ্ত কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী, অর্থ পাচার রোখার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের কাজে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে নতুন কর্ম পরিকল্পনার সাতটি পয়েন্টের মধ্যে চারটি হয় সম্পন্ন হয়েছে বা কাজ হয়েছে।
পাকিস্তান এখনও পর্যন্ত চিন, তুরস্ক এবং মালয়েশিয়ার মতো ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তায় এফএটিএফের কালো তালিকায় যাওয়া এড়িয়েছে। তবে ধূসর তালিকায় থাকায় ইসলামাবাদের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাঙ্ক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য পাওয়া কঠিন। এদিকে দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। তবে শিক্ষা নিয়ে শুধরোতে পারছে না পাকিস্তান।