হনুমানজির মূর্তির অবমাননা এবং হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য পাকিস্তানি এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে সেদেশের সিন্ধু প্রদেশের পুলিশ। ধর্মীয় অবমাননার আইনে গ্রেফতারর করা হয়েছে সেই সাংবাদিককে। অভিযুক্ত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিরপুরখাস শহরের স্যাটেলাইট থানায় মামলা করা হয়েছে। কারাগারে বন্দি সেই সাংবাদিকের একটি ছবিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। (আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনের গতিপথ বদলের ইঙ্গিত, আগামীতে কী সিদ্ধান্ত নেবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ?)
জানা গিয়েছে, ধৃত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিরপুরখাসের লুহানা পঞ্চায়েতের সহ-সভাপতি রমেশ কুমার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। রমেশ কুমার দাবি করেন, তিনি তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে ছিলেন, সেই সময় তিনি তাঁর ফেসবুক পেজে স্থানীয় লেখক আসলাম বালোচের একটি পোস্ট দেখেন। সেই পোস্টটি ভগবান হনুমানকে নিয়ে করা হয়েছিল। সেই একই পোস্ট হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আদানির পর হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে কপাল পুড়ল টুইটার প্রতিষ্ঠাতার, অভিযোগ কী?
অভিযোগকারী বলেন, আসলাম বালোচ এই পোস্টের মাধ্যমে হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। আসলাম বালোচের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ ছড়ানো এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করার চেষ্টার অভিযোগ করেন রমেশ কুমার। রিপোর্ট অনুযায়ী, সিন্ধি মুসলমানরাও এই পোস্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। এই আবহে ইচ্ছাকৃতভাবে দুই ধর্মের মধ্যে বিভেদ ছড়ানোর চেষ্টা করার অভিযোগে পাকিস্তান পেনাল কোডের ধারা ২৯৪এ-এর অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই ধারার অধীনে, দোষী প্রমাণিত হলে একজন ব্যক্তির ১০ বছরের জেল হতে পারে।
আসলাম বালোচ ভগবান হনুমানের ছবি ক্যাপশন দিয়ে শেয়ার করেন। তাতে তিনি লেখেন, 'ক্যাপ্টেন শ্রী রাম পার্ক ওয়ালে।' সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী গিয়ানচাঁদ ইসরানি মিরপুরখাস পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং অবিলম্বে অভিযুক্ত সাংবাদিককে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, পাকিস্তানি হিন্দু জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই সিন্ধু প্রদেশে বাস করেন এবং ৭০ শতাংশেরও বেশি পাকিস্তানি হিন্দু থাকেন এই মিরপুরখাস অঞ্চলে। এই অঞ্চলের অন্তর্গত থারপারকার, উমরকোট এবং সাংঘর জেলা ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা।