১৯৮৪ সালের গ্যাস দুর্ঘটনার ভয়াবহ স্মৃতি ফিরল ভোপালে। মাঝরাতে একটি পানীয় জলের কারখানা থেকে ক্লোরিন গ্যাস লিক করে অসুস্থ হয়ে পড়লেন কমপক্ষে ১৫ জন। যার মধ্যে দুজন শিশু। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই তা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছেন দমকল কর্মীরা। নিরাপদে সরানো হয়েছে এলাকার ৭০ টি পরিবারকে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত আড়াইটে নাগাদ ভোপালের মাদার ইন্ডিয়া কলোনিতে।
মর্মান্তিক ঘটনা খড়দায়, কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস লিকে মৃত্যু দু’জনের
দুর্ঘটনাটি মাঝরাতে হওয়ায় সেই সময় সকলে ঘুমিয়ে ছিলেন। গ্যাস লিক হওয়ার পরে আচমকা সেখানকার বাসিন্দাদের শ্বাসকষ্ট, মাথা যন্ত্রণা, বমি, চোখ জ্বালা শুরু হয়। স্থানীয়দের দাবি, পানীয় জলের কারখানায় গ্যাস লিক হওয়ার পরে প্রথমে সিলিন্ডারটি মেরামত করা হয়। তারপরেও সেখান থেকে গ্যাস নির্গত হতে থাকে। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় দমকল বিভাগ।আধঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গ্যাস লিক করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষমেষ গ্যাস সিলিন্ডারটিকে জলের মধ্যে ডুবিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। এই এলাকায় প্রায় ৪০০ পরিবারের বসবাস। কারখানার নিকটবর্তী পরিবারকে দ্রুত নিরাপদে সরানো হয়। অনেকেই এলাকা থেকে পালিয়ে যান। উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে এই এলাকাতেই ভয়াবহ গ্যাস দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই স্মৃতি যেন ফিরে আসল বুধবারের ঘটনায়। ভোপাল পুরসভার কমিশনার কেভিএস চৌধুরী জানান, ইদগাহ পাহাড়ের পানীয় জলের কারখানায় একটি সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিক করে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। তা বন্ধ করার জন্য সিলিন্ডার জলে ফেলে দেওয়া হয়। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।