বৃন্দা তুলসীয়ান
লোকসভায় নিরাপত্তার বড়সর ফাঁক সামনে এসেছে। নিরাপত্তার কড়া বেষ্টনীকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে একেবারে সংসদের ভেতরে দর্শক আসন থেকে লাফ মারলেন দুজন। এনিয়ে লোকসভার অন্দরে তুমুল হট্টগোল হয়। এদিকে তারপরেও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় সংসদের কাজ চালিয়ে নিয়ে যেতে চান। তিনি বিরোধীদের আশ্বস্ত করে বলেন, যারা সংসদের মধ্য়ে ঢুকে পড়েছিল তাদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সংসদের সুরক্ষা বাহিনী গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
এদিকে সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে লোকসভায় ওই যুবকদের তাণ্ডবের ঘটনা। সাংসদরা তাদের তাড়া করলে তারা ডেস্কের উপর দিয়ে ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। এদিকে স্পিকার জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। তারপর লোকসভা চলতে থাকে।
এদিকে কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে গোটা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এই হামলার বিরুদ্ধে আমরা আওয়াজ তুলছি। কিন্তু আপনি রাজ্যসভা চালানোর অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু এটা বুঝতে হবে ঘটনাটা খুব সিরিয়াস। এটা লোকসভা বা রাজ্যসভার বিষয় নয়। বিষয়টা হল ওরা কীভাবে সংসদের মতো সুরক্ষিত জায়গায় এভাবে ঢুকে পড়ল?
এদিকে জগদীপ ধনখড় জানিয়েছেন, আমি সিকিউরিটি ডাইরেক্টরকে ডেকে পাঠিয়েছি। তিনি গোটা বিষয়টি জানাবেন।
এদিকে ঘটনার পরেই বিরোধীরা তুমুল সরব হন। তবে ধনখড় জানান, লোকসভা ভালোভাবে চলছে। আমি গোটা বিষয়টি জানাচ্ছি।
এদিকে এদিন সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২৩ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। তার মধ্য়েই বিরোধীরা চিৎকার শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী জবাব দো! এদিকে খাড়গে বলেন, আপনি( ধনখড়) খুব ভালো, কিন্তু সরকার ভালো নয়। ওরা আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না। তিনি বলেন, দেখুন দুটি ভবনই লাগোয়া। লোকসভায় আগুন লাগলে তার আঁচ এখানেও আসবে। এরপর জগদীপ ধনখড় বলেন, আপনাদের আপডেটটা জানাচ্ছি।
তবে খাড়গে বলেন, কোনও তথ্য় নেই। সভা মুলতুবি করা দরকার। এদিকে পীযুষ গোয়েল, বলেন, আমাদের এই বার্তা দিতে হবে যে দেশ সবার উপরে। আমরা চাই সভার কাজ চলুক। কিন্তু কংগ্রেস এটা নিয়ে রাজনীতি করছে। এটা ঠিক নয়।
এরপরই বিরোধীরা ওয়াক আউট করেন। এনিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন শাসকদলের নেতৃত্ব।