মোদী আর্কাইভ। মানে এখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জীবনের না জানা অনেক কথাই জানা যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেখানে এবার তাঁর ব্যক্তিগত ডায়েরির পাতা শেয়ার করেছেন। সেখানে মূলত মহাত্মা গান্ধীর প্রতি তাঁর শ্রদ্ধার্ঘ্যকে তিনি তুলে ধরেছেন।
এক্স হ্যান্ডেলে তিনি শেয়ার করেছেন গোটা বিষয়টি। সেখানে তিনি লিখেছেন, নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত ডায়েরির পাতা এখানে তুলে ধরলাম। এটা দেখে বোঝা যায় তিনি যে মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে পড়াশোনা করেছেন সেটাই নয়, তিনি তাঁর ব্যক্তিগত ডায়েরিতে মহাত্মা গান্ধীর সম্পর্কে নানা উক্তি লিখে রেখেছিলেন। এটা তাঁর কাছে অনুপ্রেরণামূলক ছিল।
ঠিক কী ধরনের উক্তি লেখা রয়েছে সেই ডায়েরির পাতায়? সেখানে লেখা হয়েছে, যদি রক্ত ঝরে তবে সেটা যেন নিজের হয়,কাউকে হত্যা না করে নিজে মৃত্যুবরণ করার সাহস ও শান্ত পরিস্থিতি যেন থাকে আমাদের।
অপর একটি উক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অহিংসার প্রতি আমার যে মোহ সেটা সর্বদা সক্রিয়, এখানে ভীরুতা বা দুর্বলতার কোনও ব্যাপার নেই। …
সেই সঙ্গেই সেই ডায়েরির পাতায় লেখা হয়েছে, পূজ্য বাপুর প্রতি আমার শ্রদ্ধা প্রদর্শন করছি তাঁর পূন্য তিথিতে।
এদিকে এর আগেও তিনি বার বার মহাত্মা গান্ধী ও তাঁর আদর্শকে স্মরণ করেছেন।
হিরোশিমায় মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি উন্মোচন করেছিলেন মোদী। পরমাণু যুদ্ধে বিধ্বস্ত হিরোশিমার বুকে ভারতের অহিংস আন্দোলনের পথিকৃত মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি উন্মোচন নিঃসন্দেহে বড় বার্তা।
হিরোশিমায় গান্ধী মূর্তি উন্মোচনের পর মোদী টুইটে লিখেছিলেন, ‘হিরোশিমার নাম শুনলে আজও পৃথিবী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এই শহরে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি উন্মোচন বিশেষ বার্তাবহ। আজ বিশ্বের লাখ লাখ মানুষকে শক্তি দিচ্ছে মহাত্মার শান্তি, অহিংসা ও ভ্রাতৃত্বের বার্তা।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রেডিওর অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এ উঠে এসেছিল, মহাত্মা গান্ধীর প্রিয় ভজনের প্রসঙ্গ। মহাত্মা গান্ধীর প্রিয় ভজন ‘বৈষ্ণব জন’ গানটি এক গ্রিক শিল্পীর কণ্ঠে শুনে তার ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন মোদী। ‘মন কি বাত’ এর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে গানটির অডিও প্রকাশও করা হয়েছিল।
বিখ্যাত গ্রিক শিল্পী কনস্টানটাইনোজের কণ্ঠে উঠে এসেছে এই গানটির একটি রূপ। টুইট পোস্টে লেখা হয়, ‘আপনারা সকলেই এই গানটির কোথাও না কোথাও শুনেছেন, কারণ বাপুর প্রিয় গান এইটিই। যদি আমি বলি এই গানটি যাঁরা এখানে গেয়েছেন তাঁর সকলেই গ্রিক। তাহলে আপনারা অবাক হবেন! আপনাদের বুক গর্বে ভরে যাবে।’ উল্লেখ্য, কয়েকশো বছর আগে নরসিংহ মেহতা এই গানটি লেখেন বলে জানা যায়। গুজরাটের কবির লেখা এই গান পরবর্তীকালে মহাত্মা গান্ধীর প্রিয় ভজন হয়ে ওঠে। হরিজন সমাজের জন্য এই গানটিকে প্রার্থনা স্বরূপ পরিবেশন শুরু হয়। পরবর্তীকালে তা বিশ্বভ্রাতৃত্বের বার্তা রূপে পরিবেশিত। সেই গানকেই ফের একবার এই নতুন রূপে শুনে তা মন ছুঁয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী।