বিহার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে জাত সমীক্ষার রিপোর্ট পেশ করল রাজ্য সরকার। সমীক্ষা উঠে এসেছে, এখনও রাজ্যের ৩৪.৩ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করেন।
রাজ্য রাজনীতিতে তো বটেই জাতীয় রাজনীতিতে বিহারের এই জাত সমীক্ষা এখন চর্চার বিষয়। রাজ্যের মোট ১৩.০৭ কোটি মানুষ এই জাত সমীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এই সমীক্ষা সমস্ত বর্ণের গোষ্ঠীতে দারিদ্রকে ব্যাপক ভাবে চিহ্নিত করেছে। রাজ্যে বসবাসকারীর মধ্যে ৫৩.৭২ লক্ষ পরিযায়ী রয়েছে।
এই সমীক্ষায় জানা যাচ্ছে বিহারে লিঙ্গ অনুপাত, প্রতি ১০০০ হাজার জনসংখ্যার ৯৫৩ জন মহিলা। রাজ্য সাক্ষরতার হার ৭৯.৭০ শতাংশ।
সমীক্ষায় উঠে এসেছে হিন্দুদের উচ্চবর্ণের সংখ্যা মোট জনসংখ্যা ১০.৫ শতাংশ। এদের মধ্যে ভূমিহার, ব্রাহ্মণ এবং রাজপুতদের দারিদ্রের হার যথাক্রমে ২৭.৫৯, ২৫.৩২ এবং ২৪.৮০ শতাংশ। উল্লেখযোগ্য ভাবে কায়স্থদের মধ্যে দারিদ্রের হার সবচেয়ে কম। ১৩.৮৩ শতাংশ।
(পড়তে পারেন। মুখ্যমন্ত্রীর অফিস দুর্নীতির আড্ডা!’ ছত্তিশগড়ে প্রচারে বাঘেলকে নিশানা মোদীর)
উচ্চবর্ণের মুসলমানদের মধ্যে দারিদ্রের হার যথাক্রমে, শেখেদের ২৫.৮৪ শতাংশ, পাঠান (খান) ২২.২০ এবং সৈয়দ ১৭,৬১ শতাংশ। সামগ্রিক ভাবে ৪৩.২৮ লক্ষ জনসংখ্যার উচ্চবর্ণের ২৫.০৯ শতাংশ দরিদ্র।
সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ৭৪.৭৩লক্ষ জনসংখ্যা অনগ্রসর শ্রেণিতে দারিদ্রের হার সাধারণ শ্রেণির চেয়ে ৩৩.১৬ শতাংশ বেশি। আবার যাদবরা মোট জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ। কিন্তু যাদবরা মোট জনসংখ্যা ১৪ শতাংশ। তাদের মধ্যে দরিদ্র ৩৫.৮ শতাংশ।
(পড়তে পারেন। ৫০ বছরে ৩০ বার হেরেছেন, তবু ভোটে দাঁড়ান এই মনরেগা শ্রমিক, কী কারণে?)
দারিদ্র্যপীড়িত জনসংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে, অন্যান্য জাতিরে মধ্যে রয়েছে কুশওয়াহা (৩৪.৩%), কুর্মি (২৯.৯%), বানিয়া (২৪.৬%), মোমিন মুসলিম (২৬.৭%), ধুনিয়া মুসলিম (৩১.৪%) এবং বিন্দ (৪৪.১%)।
অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণীর মধ্যে দারিদ্র্যের হার প্রায় ৩৩.৫৮ শতাংশ। যেখানে এই হার তপশিলি জাতিদের মধ্যে ৪২.৯২ শতাংশ এবং তফসিলি উপজাতির মধ্যে ৪২.৭০ শতাংশ।
(পড়তে পারেন। ‘সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে’ মুখ্য তথ্য কমিশনার নিয়োগ, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি অধীরের)
প্রসঙ্গত, এক মাস আগে বিহার সরকার আর্থ-সামাজিক পরিসংখ্যান ছাড়াই জাত সমীক্ষার তথ্য প্রকাশ। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আশ্বাস দিয়েছিলেন এ নিয়ে আলোচনার জন্য বিধানসভা সম্পূর্ণ তথ্য-সহ জাত সমীক্ষার রিপোর্ট বিধানসভায় রাখার কথা জানিয়েছিলেন। সেই মত বিধানসভায় মঙ্গলবার জাত সমীক্ষার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে।