নিজের সমস্যা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দফতরে ফোন করেছিলেন সঙ্গীতা সোলাঙ্কি নামক এক যুবতী। তাঁর সমস্যা শুনেই একদিনের মধ্যে পদক্ষেপ করলেন যোগী আদিত্যনাথ। জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী সঙ্গীতা একটি কলেজের শিক্ষক। তবে তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরির সুযোগ পেলেও তাঁকে কলেজে নিয়োগ করা হচ্ছে না। এই অভিযোগ জানিয়ে তিনি ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে।
সঙ্গীতার এই অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পৌঁছতেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। শুধু তাই নয় সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষ ও ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে মিরাটের লালকুর্টি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ব্যবস্থাপককে হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে অবশ্য শিক্ষক কাজে যোগ দিলে ব্যবস্থাপককে ব্যক্তিগত মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে ভাগীরথী আর্য কন্যা ইন্টার কলেজের অধ্যক্ষ লতা সাগর জানান, সমস্যার সমাধান হয়েছে। এখন কোনও সমস্যা নেই। তবে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ তিনি উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, এই ধরনের কোনও বিষয় সম্পর্কে তিনি অবগত নন।
জানা গিয়েছে, সঙ্গীতা সোলাঙ্কি সেকেন্ডারি এডুকেশন সার্ভিস সিলেকশন কমিশনের পরিচালিত লিখিত পরীক্ষা ও সাক্ষাত্কারে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। এরপর কমিশন তাঁকে মিরাটে ভাগীরথী আর্য কন্যা ইন্টার কলেজ নিয়োগ করেছিল। তবে নিয়োগপত্র পাওয়ার পরও কলেজের ব্যবস্থাপক তাঁকে দায়িত্ব গ্রহণ করতে বাধা দেন বলে অভিযোগ করেন সঙ্গীতা। নিয়োগের জন্য ব্যবস্থাপকের পক্ষ থেকে তাঁর কাছে টাকা চাওয়া হচ্ছিল। এই আবহে সঙ্গীতা সোলাঙ্কি মুখ্যমন্ত্রী দফতরে তাঁর সমস্যার কথা জানান। এরপর তাঁর সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয় মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী শীর্ষ আধিকারিকদের অবিলম্বে তদন্ত শুরুরও নির্দেশ বলে জানা গিয়েছে।