পাঁচটি পৃথক ঘটনার জেরে মুম্বই জুড়ে রবিবার প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৩৩ জন। মুম্বইয়ের চেম্বুরে এরটি বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে প্রাণ হারান ১৯ জন। অন্যদিকে ভিকরোলিতেও বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হয়েছে ১০ দনের। মুলুন্দে একজনের বৃষ্টি হয়েছে প্রবল বৃষ্টির জেরে। তাছাড়াও মুম্বইয়ের বিভিন্ন জাগায় বিচ্ছিন্ন ঘটনার জেরে মৃত্য হয় আরও তিন জনের। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণেই এই ভাবে বিল্ডিং ধসে বিপত্তি বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়ে মুম্বইয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। বিভিন্ন রাস্তায় হাঁটুর উপরে জল। ডুবে গিয়েছে রেল লাইন। এর ফলে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত জনজীবন। সড়কপথে যান চলাচলের গতি মন্থর। কমে লোকাল ট্রেনের গতিও। সিয়ন, বান্দ্রা, আন্ধেরি, সান্তাক্রুজের মতো বিভিন্ন এলাকা চলে যায় জলের তলায়।
ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। কেন্দ্র জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য করবে বলে জানান মোদী। এদিকে মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য এবং আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসার আশ্বাস দেন উদ্ধব।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন ধরে মুম্বইতে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। এই পরিস্থিতি মুম্বইয়ের চেম্বুরের ভারত নগরে ভূমিধসের কারণে বাড়ির একটি দেওয়াল ধসে পড়ে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণেই এই ভূমিধস বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর এলাকায় পৌঁছায় পুলিশ। এনডিআরএফ-র দলও উদ্ধারকাজ শুরু করে। তাদের সঙ্গে স্থানীয় মানুষজনও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছিলেন। এদিকে ভিকরোলিতেও একই ধরনের ঘটনায় দশজন প্রাণ হারান।