কয়েকদিন আগেই পুলওয়ামা হামলায় নিহত সিআরপিএফ জওয়ানদের বিধবাদের রাস্তায় মারধরের অভিযোগ উঠেছিল কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানে। অভিযোগের তির ছিল পুলিশের দিকে। এবার সেরাজ্যের শাসকদলের নেতা ফের একবার পুলওয়ামা হামলা নিয়ে প্রশ্ন করে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক উস্কে দিলেন। রাজস্থানে কংগ্রেসের 'ইন-চার্জ' সুখজিন্দর সিং রান্ধওয়া মন্তব্য করেন, 'কীভাবে পুলওয়ামা ঘটল? এই নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। এটা কি শুধুই নির্বাচনে লড়াই করার জন্য করা হয়েছিল?' বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, 'বিজেপি বলে যে তারা সবছেকে বড় দেশভক্ত। তবে মোদী দেশভক্তী শব্দের অর্থই জানেন না। বিজেপির কোন নেতা দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন?'
এদিকে সুখজিন্দর কংগ্রেস নেতাদেরও অন্তর্দ্বন্দ্ব ভুলে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, নির্বাচনের আগেই সচিন পাইলট এবং অশোক গেহলটের মধ্যে মনোমালিন্য এবং তিক্ততা শিরোনামে থাকছে। এই নিয়ে চরম অস্বস্ততিতে কংগ্রেস। এই আবহে কোনও নেতার নাম না নিয়ে সুখজিন্দর বলেন, 'আমি দলের সব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি - নিজেদের মধ্যে লড়াই বন্ধ করুন এবং মোদী শেষ করার কথা ভাবুন। যদি আমরা মোদীকে শেষ করতে পারি, তাহলে আমরা দেশকে বাঁচাতে পারব। যদি মোদী থাকে, তাহলে হিন্দুস্তান শেষ হয়ে যাবে।'
এদিকে কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া। তিনি অভিযোগ করেন, কংগ্রেস নেতা দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন করা জওয়ানদের অপমান করেছেন। তিনি বলেন, 'মিঃ রান্ধাওয়া, শহিদদের নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়।' এদিকে হামলায় নিহত তিন সিআরপিএফ জওয়ানের বিধবা স্ত্রী সম্প্রতি ইচ্ছামৃত্যুর অনুমতি চেয়েছেন রাজস্থানের রাজ্যপালের কাছে। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার তাঁদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, পূরণ করেনি। এই আবহে তিন জওয়ানের বিধবারা তাঁদের জীবন শেষ করার জন্য রাজ্যপাল কালরাজ মিশ্রের কাছে অনুমতি চেয়েছেন। এর আগে শহিদদে বিধবারা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনের দিকে গেলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছিলেন। পুলিশ তাঁদের মারধর করে বলেও অভিযোগ। মঞ্জু জাট নামক এক বিধবা এই ঘটনায় জখম হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এই আবহে ২০১৯ সালের সেই বিভীষিকাময় সন্ত্রাসী হামলা ফের একবার বড় রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজস্থানে।