এক মাস ধরে যে কালো মেঘ ছিল, তা অনেকটাই কেটে গিয়েছে। তাঁর সমস্ত অভাব-অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের পদক্ষেপেও ‘সন্তুষ্ট’ তিনি নিজেও। কিন্তু এতদিন যেভাবে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যক্তিগত আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে, তা নিয়ে কিছুটা অনুযোগ করলেন সচিন পাইলট।
'হিন্দুস্তান টাইমস'-এ পাইলট বলেন, 'অনেক অসংসদীয় শব্দ ব্যবহার করা হলেও আমি পুরো বিষয়টির মর্যাদা বজায় রেখেছি।'
সোমবার দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর বাসভবনে বৈঠক করেন পাইলট। সেই বৈঠকেই ‘সন্ধিচুক্তি’ করতে সম্মত হয়েছেন রাজস্থানের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী। পরে জানান, দলের ভালোর জন্য কয়েকটি বিষয় তুলে ধরার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়েছিল তাঁর। পাইলট বলেন, ‘আমরা কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে নীতিবোধের বিষয়গুলি তুলে ধরেছি এবং সময়ের মধ্যে আমাদের অভাব-অভিযোগ সমাধানের আশ্বাসকে স্বাগত জানাচ্ছি।’
একইসঙ্গে রাজস্থানের বিদ্রোহী বিধায়কদের সমস্যা সমাধানের জন্য কংগ্রেস যে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তে নিয়েছে, তাতেও আশা প্রকাশ করেছেন পাইলট। তাঁর বিশ্বাস, ‘সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’ পরে রাত একটা নাগাদ টুইটারেও সন্তুষ্টি প্রকাশ করে একটি টুইটবার্তায় পাইলট বলেন, ‘আমাদের অভাব-অভিযোগ শোনা এবং সমাধানের জন্য সোনিয়াজি, রাহুল গান্ধীজি এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাজিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি নিজের বিশ্বাসে অটল আছি এবং আরও উন্নততর ভারত, রাজস্থানের মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন এবং আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার জন্য কাজ চালিয়ে যাব।’
তবে পাইলট স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কোনও পদের আকাঙ্ক্ষায় ‘সন্ধিচুক্তি’ করেননি। কারণ কোন পদের প্রতি তাঁর কোনও মোহ নেই। তাঁর বক্তব্য, দলই তাঁকে পদ দিয়েছিল। সেই দল তাঁর পদ ফিরিয়ে নিতে পারে।