সবুজ সংকেত পেল নয়া বিমান সংস্থা 'আকাসা এয়ার'। ধনকুবের বিনিয়োগকারী রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার স্বপ্নের উদ্যোগ এটি। আগামী ২০২২ সালে উড়ান শুরু করবে আকাসা।
জেট এয়ারওয়েজের প্রাক্তন সিইও বিনয় দুবেও এই এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যুক্ত। আপাতত ২০২২ সাল থেকে উড়ানের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহণ অধিদপ্তরের (ডিজিজিএ) লাইসেন্সের অপেক্ষা।
আকাসার বোর্ডে আছেন ইন্ডিগোর প্রাক্তন সভাপতি আদিত্য ঘোষও। সংস্থার উচ্চপদস্থরা এই খবর শেয়ার করেছেন এবং অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা এবং তাঁর স্ত্রী ও ব্যবসায়িক পার্টনার রেখা ঝুনঝুনওয়ালা।
এয়ারবাসের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার ক্রিশ্চিয়ান শেরার সম্প্রতি সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানান, বিমান কেনার চুক্তির বিষয়ে আকাসার সঙ্গে আলোচনা চলছে।
মার্কিন বিমান নির্মাতা বোয়িং-এর সঙ্গে তাদের জনপ্রিয় বি ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান ক্রয়ের বিষয়েও আলোচনা চলছে। এভিয়েশনের বাজারে এয়ারবাসের A320 সিরিজের বিমানগুলি বোয়িং-এর B737 বিমানের প্রতিদ্বন্দ্বী।
সূত্রের খবর, আগামী ৪ বছরে মোট ৭০টি বিমানের ফ্লিট গড়ার লক্ষ্য আকাসার। ইতিমধ্যেই আকাসা এয়ারের জন্য ২৪৭.৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ভারতের অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলের বাজারের প্রায় ৫০ শতাংশ শেয়ার ইন্ডিগোর দখলে। ইন্ডিগো শুধুমাত্র এয়ারবাসের ন্যারো বডির বিমান ব্যবহার করে। ভারতীয় ক্যারিয়ারদের মধ্যে, শুধুমাত্র স্পাইসজেট এবং এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বোয়িংয়ের ন্যারো বডি বিমান ব্যবহার করে। A320 এবং B737-এর মতো ন্যারো-বডি বিমানের একটি ছোট জ্বালানি ট্যাংক থাকে। ফলে এটি অল্প দূরত্বে উড়তে পারে।
২০১৯ সালের মার্চে বিশ্বব্যাপী 737 MAX-এর ব্যবহার স্থগিত করা হয়েছিল। মাত্র পাঁচ মাসে দুইটি মারাত্মক দুর্ঘটনায় ৩৪৬ জন নিহত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একদিকে এই পরিস্থিতি, অন্যদিকে করোনা লকডাউন, দুইয়ের প্রভাবে কার্যত আর্থিক সংকটের মুখে পড়ে বোয়িং।
গত অগস্টে ডিজিসিএ বোয়িং-এর 737 ম্যাক্স উড়োজাহাজকে ওড়ায় ছাড়পত্র দিয়েছে। এর আগে প্রায় আড়াই বছরের কোমা থেকে ফিরে এসেছে সংস্থা।
বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩৪টি বিমান সংস্থা এর আগেই বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্সকে ছাড়পত্র দিয়েছিল। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ৩৪৫টি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স উড়ছে। সব দিক বিচার করেই সিদ্ধান্ত নেয় ডিজিসিএ।