দেখে মনে হতে পারে, মুখের সামনে যেন বসানো রয়েছে সুদীর্ঘ একটি ধারাল 'করাত'। তারপর শুরু হয়েছে তার সুবিশাল দেহ। এমন এক মাছ সম্ভবত কর্ণাটকের মালপে এলাকায় উপকূল তট অনেক বছর ধরে দেখেনি! তবে আজ যখন এই সুবিশাল হাঙর জলে পড়তেই সেখানের উপকূলে শুরু হয় চাঞ্চল্য। বিরল ১০ ফুটের এই হাঙরকে জল থেকে উদ্ধার করে 'সি ক্যাপ্টেন' নামের একটি ছোট নৌকা। আর তা পাড়ে আসতেই হইচই পড়ে যায় উপস্থিত জনতার মাঝে।
এদিকে, ১০ ফুটের এই বিরল হাঙর প্রজাতির হাঙর ডাঙায় মৃত অবস্থায় আসে। হাঙরকে তুলে ধরতে ডাকা হয় জেসিবি ক্রেন। আর শেষে ক্রেনে তুলে ধরে এই হাঙর নিলাম করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই বিশেষ ধরনের হাঙর অত্যন্ত বিরল ভারতে। ওয়াইল্ড লাইফ প্রোটেকশন ১৯৭২ শিডিউল ১ অনুযায়ী, এই হাঙর সংরক্ষিত প্রজাতির প্রাণীদের তালিকায় রয়েছে। ফলে এই প্রাণীদের শিকার ও তাদের বিক্রি করার ঘটনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ দেশের আই অনুযায়ী। একটি বাঘ বা হাতিকে হত্যার যা শাস্তি এই বিরল প্রজাতির হাঙরকেও হত্যার একই শাস্তি। এদিকে, আইনের তোয়াক্কা না করে কর্ণাটকের উডুপির মালপে উপকূলে হইচই করে নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হল এই হাঙরকে। জানা গিয়েছে, এই বিরল প্রাণীকে ম্যাঙ্গালুরুর এক ব্যবসায়ী কিনেছেন।
এদিকে, উডুপির বুকে এমন ঘটনার জেরে প্রশ্ন উঠছে মৎসদফতরের উদাসিনতা নিয়ে। এই অবৈধ কাণ্ড ঘিরে মৎসদফতর কোনও পদক্ষেপ কেন নেয়নি তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। 'ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন ফর নেচার' এর তকমা অনুযায়ী, এই ধরনের মৎসজাতীয় ৫ টি প্রাণী বিরল প্রাণীদের তালিকাভূক্ত। আর তা জালে পড়তেই এভাবে তার বিক্রির ঘটনা ভিডিয়োতে ধরা পড়ে। ধরা পড়ে কীভাবে নিলামে বিক্রি হয়ে গেল এই বিরল মাছ। আর তার সমস্তই ধরা পড়েছে ভিডিয়োয়।