আগামী ১১ জুলাই পুরীতে রথযাত্রা। তবে এবারও কোভিড বিধি মেনে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই রথযাত্রার আয়োজন করা হবে পুরীতে।তবে ওড়িশা রাজ্যের অন্যত্র রথযাত্রা করায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ওড়িশার স্পেশাল রিলিফ কমিশনার প্রদীপ জেনা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ‘গত বছর সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ জারি করেছিল তাকে মান্যতা দিয়েই এবার রথযাত্রার আয়োজন করা হবে। কোনও ভক্তসমাগম রাখা যাবে না। পুরীতে ঢোকার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ৫০০ জনের বেশি রথ টানতে পারবেন না। তবে তাঁদের করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পরই ছাড়পত্র মিলবে। ’
'সেবায়েত, পুলিশকর্মী ও অন্যান্য আধিকারিকরা রথ টানতে পারবেন। তবে তাঁদের পুরোপুরি ভ্যাকসিন নিতে হবে। অথবা রথযাত্রার ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ হতে হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার ব্যাপারেও সবরকম চেষ্টা করতে হবে। রথযাত্রার দিন কার্ফু জারি করা হবে পুরী শহরে।' জানিয়েছেন স্পেশাল রিলিফ কমিশনার।
অন্যদিকে জগন্নাথ মন্দির থেকে গুন্ডিচা পর্যন্ত রথযাত্রার এই প্রচলন দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। এটিকে ওড়িশার অত্যন্ত পবিত্র উৎসব বলে গণ্য করা হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জেরে গতবারেও রথযাত্রা পালনের ক্ষেত্রে ব্যাপক কড়াকড়ি করা হয়েছিল। কোনওভাবেই যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় সেজন্য গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এবারও সেই গাইডলাইন মেনেই রথযাত্রা হবে পুরীতে। তবে কোনওভাবে ভক্তরা এই উৎসবে দলে দলে অংশ নিতে পারবেন না। বাইরে থেকে ভক্তরা যাতে না আসতে পারেন সেকারণে পুরীতে ঢোকার সমস্ত রাস্তাতেও নো এন্ট্রি করে দেওয়া হবে। জগন্নাথ মন্দিরের মুখ্য প্রশাসক জানিয়েছেন, ৪০ জন কাঠমিস্ত্রি সহ অন্যান্যরা সেই অক্ষয় তৃতীয়া থেকে রথ সংস্কারের কাজ করছেন। কোভিড বিধি মেনেই তাঁরা কাজ করছেন।