২০০৮ সাল থেকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর (RAW) সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অভিযোগে প্রাক্তন আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসাদ দুরানির ‘নো ফ্লাই’ তালিকা থেকে নাম মুছে ফেলার চেষ্টায় আপত্তি জানাল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
২০১৮ সালে প্রাক্তন ‘র’ প্রধান এ এস দৌলতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে লেখা The Spy Chronicles: RAW, ISI and the Illusion of Peace বইটি প্রকাশিত হওয়ার পরে পাক প্রতিরক্ষা দফতরের কোপে পড়েন দুরানি। প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধানের নাম একজিট কন্ট্রোল লিস্ট-এর অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি তাঁর পেনশন, ভাতা-সহ যাবতীয় সুবিধা বন্ধ করে দেয় পাক সরকার।
সেই তালিকা থেকে নিজের নাম সরিয়ে দিতে ইসলামাবাদ হাই কোর্টে আবেদন জানান জুরানি। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে আদালতকে জানানো হয়, রাষ্ট্রবিরোধী কাজের জন্য প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধানের নাম নো-ফ্লাই লিস্টেও রাখা হয়েছে।
মন্ত্রকের দাবি, দুরানির বইয়ে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত এমন কিছু উপাদান প্রকাশিত হয়েছে, যা ১৯২৩ সালের জাতীয় গোপনীয়তা রক্ষা আইনের পরিপন্থী। শুধু তাই নয়, পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আশঙ্কা, ভবিষ্যতে এমন আরও লেখনী প্রকাশিত হতে পারে যার দ্বারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভুল ধারণা, বিভ্রান্তি ও নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে এবং জনসাধারণকে নাশকতামূলক শক্তির নিশানায় পড়তে হতে পারে।
এ ছাড়াও মন্ত্রকের অভিযোগ, ‘ ২০০৮ সাল থেকে শত্রু ভাবাপন্ন শক্তি, বিশেষ করে র-এর সঙ্গে গোপন আঁতাত তৈর করেছিলেন দুরানি। অ্যাফিড্যাভিট-এর মাধ্যমে এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও দুরানিকে ক্লিনচিট দিতে রাজি নয় পাক প্রশাসন।’
মন্ত্রক জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পূর্ণ না-হওয়ায় নো-ফ্লাই লিস্ট থেকে দুরানির নাম এখনই বাদ দেওয়া সম্ভব নয়।
ইসলামাবাদ হাই কোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ২ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন বিচারপতি।