সম্প্রতি আরবিএল ব্যাঙ্কের এমডি-সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করেন বিশ্ববীর আহুজা। এরপরই আরবিএল-এর আর্থিক অবস্থা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। এই অবস্থায় আরবিএল-কে কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি ওঠে। এই আবহে সব আশঙ্কা দূর করে আশ্বাবাণী দিয়ে আরবিআই জানাল যে বেসরকারি ব্যাঙ্কটির আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। এরই মাঝে জল্পনা তৈরি হয় রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা নাকি আরবিআই-এর কাছে আরবিএল ব্যাঙ্কের ১০ শতাংশ শেয়ার কেনার আবেদন জানিয়েছেন। যদিও সিএনবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ঝুনঝুনওয়ালা এই সংক্রান্ত সব জল্পনা উড়িয়ে দেন।
এদিকে আরবিএল-এর এমডি-সিইও পদ থেকে বিশ্ববীর আহুজার পদত্যাগের পরই শেয়ার বাজারে জোর ধাক্কা খায় সংস্থা। এই আবহে আমানতকারীদের মনে বিশ্বাস ফেরাতে ময়দানে নেমেছে আরবিআই। আগের দিনের তুলনায় সোমবার আরবিএল-এর শেয়ার দর কমে যায় ১৮ শতাংশ। সোমবার ব্যাঙ্কের শেয়ার দর পতন হলে আরবিআই বিবৃতি দিয়ে জানায়, আরবিএলের আর্থিক অবস্থা ভালো আছে। লগ্নিকারীদের চিন্তার কোনও কারণ নেই।
আরবিআই জানিয়েছে, আরবিএল ব্যাঙ্কের ঋণের অনুপাতে মূলধনের পরিমাণ ১৬.৩৩ শতাংশ। আর্থিক সংস্থান ৭৬.৬ শতাংশ। ঋণের প্রেক্ষিতে হাতে থাকা সম্পদের অনুপাত ১৫৩ শতাংশ। অর্থাত্, মোটের উপর ব্যাঙ্কের আর্থিক স্বাস্থ্য ভালো। এর আগে লগ্নিকারীদের মনে আশঙ্কা জন্ম দেয়, আরবিএল-ও কি তবে ইয়েস ব্যাঙ্ক বা লক্ষ্মী বিলাস ব্যাঙ্কের অংশীদারি বিক্রির পথে হাঁটবে? এরপর সংস্থার কর্মীদের চাকরি হারানোর ভয়ে ব্যাঙ্ক কর্মীদের সংগঠন এআইবিইএ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠি লিখে হস্তক্ষেপের দাবি তোলে। প্রয়োজনে কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সঙ্গে আরবিএল-কে যুক্ত করার আবেদনও জানানো হয়।