সেই বান্টি চোরকে মনে আছে? বলিউডের সিনেমা ওয়ে লাকি লাকি ওয়ে দেখেছেন? সিনেমায় দেখা সেই রিললাইফ চোর ন., রিয়েল লাইফ চোর এবার ধরা পড়েছে। দিল্লি পুলিশ সেই বাস্তবের বান্টি চোরকে গ্রেফতার করেছে। তার আসল নাম দাবিন্দর সিং।উত্তর প্রদেশের কানপুর থেকে সেই বান্টি চোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।গ্রেটার কৈলাশ এলাকায় সে দুটি বাড়িতে চুরি করেছিল বলে অভিযোগ। এরপর সে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। ডিসিপি সাউথ জানিয়েছেন ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
বিখ্যাত সিনেমা ওয়ে লাকি লাকি ওয়ে। সেই সিনেমাটা তৈরি হয়েছিল এক চোরের জীবনকে ঘিরে। গোটা জীবন জুড়ে সে একের পর এক ডাকাতিতে জড়িয়ে পড়েছিল। তার জীবন নিয়েই তৈরি হয়েছিল এই সিনেমা। এবার বাস্তবের বান্টি চোরের সম্পর্কে জেনে নিন।
দেবেন্দ্র সিং লোকের কাছে বান্টি বলেই পরিচিত। একেবারে কুখ্য়াত চোর। রাতের অন্ধকারে বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র উধাও করে দিতে তার জুড়ি খুঁজে পাওয়া যাবে না। এতটাই দক্ষ সে চুরিতে। ক্লাস নাইনেই সে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিল। এরপর সে চুরির কাজে নেমে পড়ে। সব মিলিয়ে অন্তত ৫০০টি চুরির ঘটনার সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে গিয়েছে।
সেই ১৯৯৩ সালে প্রথমবার দিল্লিতে ধরা পড়েছিল বাস্তবের বান্টি। সেবারও চুরি করে ধরা পড়েছিল সে। সেই শুরু। তারপর ছাড়া পেয়েই একের পর এক চুুরি। ভারতের একাধিক মেট্রো সিটিতে সে চুরি করেছে বলে অভিযোগ। দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, মুম্বই সর্বত্র সে চুরি করে বেড়িয়েছে। এক অদ্ভূত দক্ষতায় চুরি করে সে।
বান্টির সব থেকে বড় দক্ষতা হল সে চুরি করার পরে সহজেই পুলিশের চোখে ধুলো দিতে পারে। দিল্লি, চেন্নাই. চন্ডীগড় সর্বত্র সে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। এদিকে সাধারণত রাতের অন্ধকারে চুরি করতে গেলে কুকুরের চিৎকারে পাড়া একেবারে সজাগ হয়ে যায়। কিন্তু সেই কুকুরদের কীভাবে পোষ মানাতে হয় তার সবটা জানে বান্টি। কুকুরদের পোষ মানিয়ে সে চুরি করে। তবে বান্টির চুরির আলাদা ধরণ আছে। বিদেশি গাড়ি আর বিদেশি ঘড়ি দেখলে বান্টি আর ঠিক থাকতে পারবে না। সেগুলিকে চুরি করা না পর্যন্ত তার যেন আর ঘুম আসে না। আর মেয়েদের মন ভোলাতেও বান্টি একেবারে সিদ্ধহস্ত।
এদিকে ওয়ে লাকি লাকি ওয়ে সিনেমাতেও সেই বান্টির জীবনকেই তুলে ধরা হয়েছিল। দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন এই সিনেমার পরিচালক। কার্যত বাস্তবের বান্টির জীবন অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল সেই সিনেমা। আর সেই বাস্তবের বান্টির এবার ঠাঁই হল শ্রীঘরে।