বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > সন্তানের তালিকায় পড়বেন পুত্রবধূ, জামাই-ও, চলতি অধিবেশনেই বিল আনতে পারে কেন্দ্র

সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। চলতি অধিবেশনেই কেন্দ্রীয় সরকার মেন্টেন্যান্স অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অফ পেরেন্টস অ্যান্ড সিনিয়র সিটিজেন (সংশোধন) বিল, ২০১৯ উত্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রকের বিলের তালিকায় প্রবীণদের সুবিধার্থে এই বিষয়টিও রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

এই বিলটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের সবুজ সংকেত পেয়েছিল। যদিও, এটি এখনও সংসদের ছাড়পত্র পায়নি। এই বিলের উদ্দেশ্য, নাগরিকদের তাঁদের মা-বাবাকে এবং অন্যান্য প্রবীণ নাগরিকদের ত্যাগ করা থেকে বিরত রাখা। সেই সঙ্গে যাতে সন্তানরা মা-বাবার মৌলিক চাহিদা এবং সুরক্ষা সুনিশ্চিত করেন। অর্থাত্ তাঁদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং যত্নের ব্যবস্থা করা।

কোভিড পরিস্থিতি এখন কিছুটা স্তিমিত। ফলে সরকার আবারও বর্তমান অধিবেশনে এই বিলটি নিয়ে আলোচনা করবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিলটি পাশ হলে প্রবীণ নাগরিক এবং বয়স্ক বাবা-মারা আরও বেশি আইনের সুরক্ষা পাবেন। বিলের সংশোধনীতে ২০০৭ সালে কার্যকর 'মা-বাবার রক্ষণাবেক্ষণ ও কল্যাণ এবং সিনিয়র সিটিজেন আইনের' বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে।

এই আইনের অধীনে বর্তমানে সন্তান বলতে শুধু পুত্র, কন্যা এবং নাতি-নাতনিদের বোঝানো হচ্ছে। কিন্তু সংশোধনের ফলে সেটা, আরও প্রশস্ত হবে। দত্তক সন্তান, জামাই বা পুত্রবধূরাও 'সন্তান'-এর সংজ্ঞার আওতায় পড়বেন। একইভাবে মা-বাবার তালিকায় শুধু রক্তের সম্পর্কের উর্ধ্বে, শ্বশুর-শাশুড়ি, পালক পিতা-মাতা পড়ছেন। রক্ষণাবেক্ষণের সংজ্ঞাটিও বদলাবে। ২০০৭-এর আইন অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণের মধ্যে খাদ্য, পোশাক, বাসস্থান এবং চিকিত্সা অন্তর্ভুক্ত ছিল। এবার তাতে সুরক্ষা, স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়াও যোগ হবে। আগে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত সর্বাধিক মা-বাবাকে রক্ষণাবেক্ষণের খরচ দেওয়া যেত। এবার সেই সীমা তুলে দেওয়া হবে। মেনটেনেন্স অ্যামাউন্ট দেওয়ার সময়সীমা কমিয়ে ৩০ দিন থেকে ১৫ দিন করা হবে।

বন্ধ করুন